| শনিবার, ৩০ মার্চ ২০১৯ | প্রিন্ট
দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর পর্তুগালের এক নারীর মস্তিষ্ক মৃত ঘোষণা করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত ডিসেম্বরে তার মস্তিষ্ক মৃত ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ওই নারী।
পর্তুগালের আন্তর্জাতিক ক্রীড়াবিদ ক্যাটারিনা সেকুয়েরা মারাত্মক অ্যাজমায় আক্রান্ত হবার পর তার মস্তিষ্ক মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল। গর্ভের সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখতেই তাকে এতদিন ভেন্টিলেটরে সংযুক্ত করা হয়। কয়েকদিনের মধ্যে ওই নারীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। খবর বিবিসির।
বৃহস্পতিবার জন্ম নেয়া পুত্র সন্তানের নাম রাখা হয়েছে সালভাদর। সালভাদরের জন্ম হয়েছে ৩২ সপ্তাহ মাতৃগর্ভে থাকার পর। তাকে শিশু হাসপাতালে পরিচর্যায় রাখা হয়। পর্তুগালে মস্তিষ্ক মৃত ঘোষণার পরেও সন্তান জন্ম দানের এটি দ্বিতীয় ঘটনা।
ক্রীড়াবিদ হিসেবে নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন সেকুয়েরা। তিনি শিশু বয়স থেকেই অ্যাজমায় ভুগছিলেন। অ্যাজমায় গুরুতর আক্রান্ত হন যখন তিনি ১৯ সপ্তাহের গর্ভবতী এবং এরপর কোমায় চলে যান।
এরপর পরিস্থিতির অবনতি হলে ২৬শে ডিসেম্বর তার মস্তিষ্ক মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে ভেন্টিলেটরে তাকে সংযুক্ত করা হয় যাতে করে গর্ভের সন্তান বাঁচতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, তাদের উদ্দেশ্য ছিল অন্তত ৩২ সপ্তাহ পর্যন্ত যেনো অপেক্ষা করা যায়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবারই তার সিজার করা হয়।
৩২ সপ্তাহের শিশুর বেঁচে থাকার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকে বলেই বলছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের এথিকস কমিটি বলছে মাতৃগর্ভে শিশুটিকে বাঁচিবয়ে রাখার বিষয়ে তারা পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শিশুটির পিতাও চেয়েছেন যাতে শিশুটি বেঁচে থাকে।
সেকুয়েরার মা বলছেন তিনি তার কন্যাকে বিদায় দিয়েছেন কিন্তু শিশুটির পিতা চেয়েছেন বলেই শিশুটির বিষয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিশুটিকে আরও অন্তত তিন সপ্তাহ হাসপাতালে থাকতে হবে।
Posted ১২:২৮ | শনিবার, ৩০ মার্চ ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain