নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪ | প্রিন্ট
টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই বাজিমাত করেছিল বাংলাদেশ। শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সুপার এইটে খেলেছিল সেবার। ২০০৭ সালের পরের সাত আসরে নিয়মিত খেলেছে টাইগাররা, কিন্তু প্রথম আসরের মতো ভালো ফল আর করতে পারেনি। অবশ্য এখনকার আসরগুলোতে সুপার টুয়েলভ হচ্ছে নিয়মিত। টাইগাররা সুপার টুয়েলভে খেলছে। কিন্তু সেমিফাইনালে খেলার কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি এখন পর্যন্ত। এবার কি পারবে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজে যে পারফরম্যান্স নাজমুল বাহিনীর, তাতে দ্বিতীয় রাউন্ড খেলা নিয়ে ক্রিকেট বিশ্লেষকদের অনেকেই সন্দিহান। মার্কিন সিরিজ শেষ। এখন টি-২০ বিশ্বকাপের মূল মঞ্চের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন টাইগাররা। ২০ ওভারের বিশ্বকাপ শুরু ২ জুন। বাংলাদেশের খেলাগুলো যথাক্রমে ৮ জুন ডালাসে শ্রীলঙ্কা, ১০ জুন নিউইয়র্কে দক্ষিণ আফ্রিকা, ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস ও ১৭ জুন নেপালের ম্যাচ দুটি সেন্ট ভিনসেন্টে। ২০ দলের টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় হতে হবে নাজমুল বাহিনীকে। পেছনে ফেলতে হবে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার যে কোনো এক দলকে। শুধু তাই নয়, হারাতে আইসিসির দুই সহযোগী দেশ নেদারল্যান্ডস ও নেপালকে। টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের না পাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে ওয়ানডে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন অস্টেলিয়ার ক্রিকেটার স্টুয়ার্ট ল বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা পাওয়ার ক্রিকেট খেলতে পারেন না। এ ছাড়া বাংলাদেশের ক্রিকেট ২৫ বছরে তেমন একটা এগোয়নি।
হিউস্টনে ৩ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ শেষ করে নাজমুলরা এখন ডালাসে। এখানেই প্রথম ম্যাচ খেলবে ২০১৪ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ডালাসের উইকেট সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই টাইগারদের। অবশ্য ধারণা পাবে আজ স্বাগতিক মোনাঙ্ক প্যাটেলের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। নাজমুলদের পরিচিত প্রতিপক্ষ। গতকাল ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছে। গত এক সপ্তাহে টি-২০ বিশ্বকাপের সহ আয়োজক দেশটির বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলে হেরেছে প্রথম দুটি। প্রথমটি ৫ উইকেটে এবং দ্বিতীয়টি ৬ রানে হেরেছে। যদিও শেষ ম্যাচে মুস্তাফিজুর রহমানের রেকর্ড গড়া বোলিং ১০ উইকেটে জিতেছে। সেই দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচটির গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা, বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে নামার আগে স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচটি খেলে ডালাসের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিবে। ৮ জুনের আগে আরও একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন নাজমুলরা। টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিপক্ষে। কঠিন প্রতিপক্ষ। অবশ্য টিম ম্যানেজমেন্ট প্রস্তুতি ম্যাচ দুটি থেকে দলের একাদশ চূড়ান্ত করে ফেলবেন। যদিও মার্কিনিদের বিপক্ষে শেষ টি-২০ ম্যাচে স্কোয়াডটাই সেরা পারফরম্যান্স করেছে। সেখানে হয়তো পেস বোলিং বিভাগে ঢুকতে পারেন তাসকিন আহমেদ। ডান পাঁজরের ব্যথায় টাইগারদের সহ অধিনায়ক টি-২০ সিরিজ খেলেননি।
নতুন বলে ওপেনিং সমস্যায় ভুগছে বাংলাদেশ। ছন্দে নেই লিটন দাস। সৌম্য সরকার রান করছেন, আবার যখন তখন আউট হয়ে সাজঘরে ফিরছেন। দুই অভিজ্ঞ ওপেনারকে পাশে রেখে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছেন বাঁ হাতি ব্যাটার তানজিদ তামিম। ১০ উইকেটে জয়ী ম্যাচে ৪২ বলে ৫৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তানজিদ। ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন বাঁ হাতি ওপেনার। সৌম্য ৪৩ রানের অপরাজিত রান করেন। এই জুটির ওপর আস্থা রাখতেই পারেন টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট। দুই ওপেনার ছাড়াও দলটির আশা ভরসার প্রতীক দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। সাকিব ৮টি বিশ্বকাপই খেলেছেন। মাহমুদুল্লাহ ২০২২ সাল ছাড়া সবগুলোতেই খেলেছেন। এই দুজন মিডল অর্ডারের ভরসা। অবশ্য দলের সবচেয়ে ভরসা এখন তৌহিদ হৃদয়। ধারাবাহিকভাবে ক্রিকেট খেলছেন। সাকিব ক্রিকেট বিশ্বের একমাত্র অলরাউন্ডার যিনি টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ ফরম্যাট মিলিয়ে ৭০০ উইকেট ১৪ হাজার ৫১৫ রান করেছেন।
এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের সহ আয়োজক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ দলকে প্রথমবার নেতৃত্ব দিচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। নিশ্চিত করেই নাজমুল চাইবেন, বিশ্বকাপকে স্মরণীয় করে রাখতে।
Posted ০৭:২১ | মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain