| সোমবার, ২০ মার্চ ২০১৭ | প্রিন্ট
ইসমাইল হোসেন স্বপন ইতালী থেকে : ২০১৭ পালিত হয়। যথাযোগ্য মর্যাদা এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের শ্রদ্ধাভালবাসায় দিবসটি উদযাপিত হয়।
স্হানীয় একটি হলে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বিকাল থেকেই সপরিবারে প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক ও শিশু-কিশোররা উপস্থিত হন। অনুষ্ঠানে শিশু কিশোরদের আনন্দ উচ্ছাস ছিল লক্ষ্যণীয় । অনুষ্ঠানের শুরুতেই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন এবং জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের নিহত সকল সদস্যের আত্মার নাগফেরাত কামনা করে এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে মহানান্য রাস্ট্রপতি, মামনীয় প্রধামমন্ত্রী, পররাস্ট্রমন্ত্রী ও পররাস্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। আলোচনা অংশে উল্ল্যেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীরা বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তারা সকলেই বঙ্গবন্ধু কন্যা মামনীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এ উন্নয়ন কার্যক্রমে তাদের দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে নিলানে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল রেজিনা আহমেদ তাঁর বক্তব্যে শিশুদেরকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে উঠার আহবান জানান। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন মহান পুরুষ এবং তিনি শিশুদের অত্যন্ত ভালবাসতেন। সেই জন্যই এই বিশাল হৃদয়ের মানুষটির জন্মদিবসটি শিশুদের জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে । অনুষ্ঠানটিকে আনন্দময় করবার জন্য আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশী শিশু-কিশোরদের পরিবেশিত কবিতা, সংগীত ও নৃত্যে উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে। প্রায় সব পরিবেশনারই মূল সুর ছিল বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে, যার মধ্যে উলেঙ্খযোগ্য সংগীত ছিল যদি রাত পোহালে শোনা যেত, বঙ্গবন্ধু মরে নাই। জাতির পিতার জন্মদিবসের আনন্দ শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দেবার জন্য কনসাল জেনারেল উপস্হিত শিশু-কিশোরদের নিয়ে কেক কেটে শিশু দিবসের আনন্দকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেন।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে কনসাল জেনারেল দিবসটি উপলক্ষ্যে “বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, বাংলাদেশের খুশির দিন” বিষয়ের উপর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরদের মাঝে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট বিতরণ করেন। উপস্থিত অভিভাবকগণ ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা তাঁদের অনুভূতি ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন যে এধরনের উদ্যোগ শিশুদেরকে বঙ্গবন্ধুকে জানতে এবং বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে উৎসাহিত করবে। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের বাংলাদেশী খাবার ও জন্মদিনের কেক দিয়ে আপ্যায়িত করা হয়।
Posted ০৫:৩৬ | সোমবার, ২০ মার্চ ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain