বিনোদন প্রতিবেদক : মাহমুদুর রশিদ ( Mahmudur Rashid ) একজন লেখক ও সংগীত শিল্পী, নতুন বছরে আঞ্চলিক গান নোয়াখালী বিভাগ চাই। নোয়াখালী বিভাগ চাই মাহামুদুর রশিদের নতুন গানে সাড়া মিলছে দেশজুড়ে । গেল সপ্তাহের প্রথমদিকে মাহমুদুর রশীদের লেখা সংগীত শিল্পি এমএল মাসুদের কন্ঠে নোয়াখালী নাম্বার ওয়ান গানটি অবমুক্ত হয়েছে। গানটি অবমুক্তির পরপরই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে নোয়াখালী পাড়া অঙ্গনে।
গানটিতে নোয়াখালীর বিভাগ বাস্তবায়নের দাবি সহ বেশকিছু আঞ্চলিক সমসাময়িক বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এই বিষয়ে স্থানীয়দের মতামত জানতে চাইলে তারা জানান বহুল প্রত্যাশিত নোয়াখালী জেলা বিভাগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই গানটি প্রচারে ভূমিকা রাখতে পারে ,যদি সেটি উপরমহলের নজরে আসে। মাহামুদুর রশিদ বর্তমান সময়ের একজন বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী, সফল উদ্যোক্তা, প্রভাবশালী লেখক, ওয়েব ডেভেলপার ও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক অভিজ্ঞ ব্যাক্তিত্ব।
তিনি বাংলাদেশের অনলাইন সঙ্গীত শিল্পে একটি মহান অবস্থান অর্জন করতে চলেছেন। তিনি তার প্রথম মিউজিক অ্যালবাম, “সেলফ নাইটস, গর্জিয়াস সিটি” প্রকাশ করেন এবং অনলাইন মিউজিক প্ল্যাটফর্মে বিশটিরও বেশি গান প্রকাশ করেন সুর আকারে। তিনি ইতোমধ্যে স্পটিফাই, ডিজার, অ্যামাজন মিউজিক, অ্যাপল মিউজিক, জিওসোন এবং অন্যান্যদের মতো বেশিরভাগ মিউজিক প্ল্যাটফর্মে যাচাইকৃত শিল্পী হয়ে উঠেছেন।
সময়ের পালাক্রমে একজন সফল শিল্পী হিসেবে ইতোমধ্যেই তিনি পুরোপুরি ভাবে আত্ম প্রকাশ ঘটিয়েছেন। তিনি সংগীত সংস্কৃতির পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বইও লিখেছেন। মাহামুদুর রশিদের সঙ্গে কথাকালে তিনি জানান দ্যা লাস্ট লেটার নামে বই দিয়ে তার সাহিত্য জীবন শুরু করেন তিনি।সেটিও গুগোলবুক , এমাজনবুক সহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি প্লাটফর্মে পাওয়া যাচ্ছে। মাহামুদুর রশিদের বিষয়ে
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায় সঙ্গীত সংস্কৃতির পাশাপাশি তিনি ইতিমধ্যে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে গেছেন । শতভাগ পরিবেশ বান্ধব কংক্রিট হলো ব্লকের কারখানা স্থাপন করে ইটের পরিবর্তে নির্মাণ সামগ্রী হিসেবে কংক্রিট ব্লক ব্যবহার করতে সবাইকে উৎসাহ প্রদান করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এ বিষয়ে মাহমুদুর রশীদের সাথে কথা বললে জানা যায় , ইট এবং ইটভাটার কারণে প্রতিদিন ফসলি জমির বিনষ্টি থেকে শুরু করে মানব জীবনের গড় আয়ু প্রত্যেকটিই হুমকির মুখে পড়ছে প্রতিনিয়ত। তাই তিনি এই ব্যবসাটি শুরু করেছেন যেখানে কোন পরিবেশ ও জনসাধারণ কেউই ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় থাকবে না। শতভাগ পরিবেশ বান্ধব।
সঙ্গীত বিষয়ে মাহামুদুর রশিদ যা বললেন ঃ “বিশ্বের প্রায় সব দেশই আজ করোনা মহামারীতে আক্রান্ত। এমন পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আমি বাড়িতে গান লেখার পাশাপাশি আমার ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানির জন্য কাজ করি। এবং আমার গান প্রায় সব মিউজিক প্ল্যাটফর্মে আছে। মাহামুদুর রশিদ বিশ্বাস করেন যে সবাই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সমৃদ্ধ হতে পারে কিন্তু তরুণদের প্রতিদিন শেখা এবং তাদের দক্ষতা উন্নত করা উচিত । যারা ডিজিটাল এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ে তাদের ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদের জন্য মাহামুদুর রশিদ আবারও একটি ভাল উদাহরণ হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। মাহমুদুর রশিদ আমাদের বলেন যে “যদি কারো বুদ্ধি এবং গবেষণা চিন্তাভাবনা থাকে, তবে এটি ডিজিটাল মার্কেটার হিসাবে কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা নেয় না”
এই তরুণ সংগীতশিল্পী মাধ্যমিক শিক্ষা করেছেন নোয়াখালীর সেনবাগের কানকিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। পরে তিনি কানকিরহাট ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করেন। বর্তমানে তিনি বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করছেন। ১০ ই জানুয়ারি ১৯৯৯ তে তিনি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বীরকোট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
মাহমুদুর রশিদ এর নিজের লেখা কয়েকটি গান তিনি নিজে ও করেছেন।
সংগীত নিয়ে মাহামুদুর রশিদ নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি নিজে একটি সংগীত এর ব্রান্ড করবেন এবং সেখানে নতুনদের সুযোগ দিবেন, যেন নতুনরা ও সংগীত এর দিকে আরও এগিয়ে যেতে পারে বলে মাহামুদুর রশিদ বলেন আজ বলিউড ইন্ড্রাস্টি এর জনপ্রিয়তা অনেক শীর্ষে থাকার কারণ আজ তাদের ভালো সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে কিন্তু আমাদের দেশের তরুণদের সুযোগ দেওয়া হয় না তাই আমাদের দেশের মিউজিক আর ফিল্ম ইন্ড্রাস্টির এই অবস্থা। মাহামুদুর রশিদ বলেন আজ আমাদের দেশের মিউজিক ও ফিল্ম ইন্ড্রাস্টির ক্ষেত্রে বিনিয়োগ কম তাই আমাদের দেশের মিডিয়া গুলা উঠতে পারছে না, কিন্তু আমি যথেষ্ট চেষ্টা করে যাব যেন কিছুটা হলেও ভালো কাজ করতে পারি।