| শনিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট
ব্রাজিলে বাঁধ ধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরো বেড়েছে। শুক্রবার দেশটির উদ্ধার ও জরুরি বিভাগের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১৫ জন প্রাণ হারিয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরো ২৪৮ জন।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে ব্রাজিলের মিনাস জেরাইস প্রদেশের ব্রুমাদিনহো শহরের ওই বাঁধটি ধসে পড়ে। এতে এলাকার মানুষ, ভবন ও যানবাহন কাঁদা মাটির নিচে চাপা পড়ে। তবে দেশটির বৃহত্তম খনি কোম্পানি ভ্যালে সা’র মালিকানাধীন ওই বাঁধটি কিভাবে ধসে পড়ল তা এখনও পরিস্কার নয়।
বাঁধ ধসে পড়ার এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ব্রাজিলের দুর্যোগ মোকাবিলা কর্মীরা। উদ্ধারকাজে ১২টি হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১৭০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে।
ব্রাজিলের খনি কোম্পানি ভ্যালের তরফ থেকে বাঁধ ধসের কারণ না জানালেও কোম্পানিটির তরফে বলা হয়েছে, কর্মী ও বাসিন্দাদের জীবনের সুরক্ষাকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে তারা।
আকাশ থেকে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, বিস্তৃত এলাকার গাছপালা ও কৃষিক্ষেত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ বেশ কিছু বাড়িঘরের ছবিও দেখা যায়। কোনও কোনও বাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলেও ছাদের ওপর ছিলো কাদার আস্তরণ। ব্রাজিলের পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা ইলবামা জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে বাঁধ ধসের কারণে লাখ লাখ টন পানি ও কাঁদা ছড়িয়ে পড়েছে।
ফায়ার ব্রিগেডের সদর দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ৩৯ হাজার মানুষের শহর ব্রুমাদিনহোর আশেপাশের এলাকায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি সেবা সংস্থাগুলো উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ব্রাজিলে এ জাতীয় বাঁধ ভেঙে দুর্ঘটনা কোনো নতুন বিষয় নয়। দেশটিতে সবচেয়ে ভয়াবহ বাঁধ ধসের ঘটনা ঘিটেছিলো ২০১৫ সালে। এতে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছিলো।
সূত্র: রয়টার্স
Posted ১৪:০৫ | শনিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain