নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট
পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই দেশের বাজারে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম বাড়লেও রোজার প্রথম সপ্তাহ শেষে সেগুলোর দাম কিছুটা নিম্নমুখী হতে দেখা গেছে। আজ (৩১ মার্চ) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম কমে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ২৫০-২৬০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকায়, যা আগে ছিল ৩৫০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। আগে কেজি ছিল ৩০০ টাকা।
কৃষি মার্কেট এলাকার মুরগি বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, বাজারে ব্রয়লার মুরগির আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কমেছে। ঈদের আগে আর দাম কমার তেমন সম্ভাবনা নেই। মুরগির দাম বাড়ার কারণ সিন্ডিকেট। ব্রয়লার মুরগির দাম কমার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত সপ্তাহের মাঝামাঝি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৮০ টাকা কেজি হয়েছিল। সেখান থেকে বেড়ে কেজি হয় ২৬০ টাকা। আজ আবার ৪০ টাকা দাম কমে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়।
বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা দরে। বাজারে খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০৫০-১১০০ টাকা দরে। বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কমেছে। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ছিল ১৪০ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৮০ টাকায়। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০-২২০ টাকা।
ডিম বিক্রেতা সাব্বির বলেন, ফার্মের ডিমের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে ডজনে ৫-১০ টাকা কমেছে। এখন ফার্মের ডিমের ডজন বিক্রি করছি ১৩০ টাকায়। কিন্তু পাড়া-মহল্লার দোকানে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৩৭ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম কমেছে। তবে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির দাম তেমন কমেনি। দুই-একটি সবজির দাম কম হলেও বাকি সব সবজির দাম বাড়তি।
শসা প্রতি কেজি ৬০-১০০ টাকা, লম্বা ও গোল বেগুনের কেজি ৮০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা, শিমের কেজি ৬০ টাকা, করলার কেজি ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০, পটল ৮০, ঢেঁড়স ৮০, কচুর লতি ১০০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৮০ ও ধুন্দুল ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা। গাজরের কেজি ৬০ টাকা, মুলার কেজি ৬০ টাকা ও কাঁকরোলের কেজি ২০০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে। ১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আল-আমিন বলেন, রমজানের মানুষ সবজি কম খায়। এক বেলা খায়, ভালো খায়। চাহিদা কম থাকায় সবজির দাম কমেছে।
পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে। বড় রসুনের কেজি ১২০-১৩০ টাকা। ছোট রসুনের (দেশি) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা দরে। বাজারে আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। চায়না আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে। বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকা। দুই কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। দেশি মসুর ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা দরে। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা। বাজারে সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকা দরে। এসব বাজারে লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা দরে।
Posted ০৭:৪৮ | শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain