| শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
ঢাকা, ২৯ নভেম্বর : দল-বদল থেকে শুরু করে নানা ভাবে হেনস্তার মাঝেও দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এতে ভীষন খুশি গাজী ট্যাংকের মালিক লুৎফর রহমান বাদল। ম্যাচ শেষে এমনই দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, একটা টিমকে কিভাবে একত্রিত করে একটা পরিবারভুক্ত করা যায় এটা আমি খেলোয়াড়দের মাঝে তৈরি করতে পেরেছি এবং এ কারণেই আমরা জিতেছি। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন গাজী ট্যাঙ্কের মালিক লুৎফর রহমান বাদল। তারই চুম্বক অংশ স্বাধীনদেশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:-
প্রশ্ন: শেষ ম্যাচে এসে লিগ শিরোপা জিতলেন কেমন লাগছে?
বাদল : সত্যি আমার খুব ভালো লাগতেছে। আমি ধন্যবাদ জানাই মহান আল্লাহ তালাকে। আপনারা দেখেছেন যে, আমাদেরকে কিভাবে বিভিন্নভাবে হেনস্ত করা হয়েছে। সমস্ত বৈরী ভাব পার হয়ে আমরা যে লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। তাতে আমি আমার সৃষ্টিকর্তাকে, আল্লাহতালাকে ধন্যবাদ জানাই। খেলোয়াড়দেরকে ধন্যবাদ জানাই।
প্রশ্ন: কী কী ধরনের বৈরিতা ছিল?
বাদল : আমাদেরকে কিভাবে একটা ম্যাচে পাঁচটা এলবিডব্লিউ দিয়েছিল। কিভাবে আমাদেরকে আউট করেছিল। এই সুপার লিগেও দেখেছেন কি হয়েছে। সর্বশেষ আমরা শেষ ম্যাচটাতে জয়ী হলাম।
প্রশ্ন : দলবদল বাধা ছিল কিনা ?
বাদল : আমি তো মনে করি প্রথম থেকেই আমাকে ঠেকানোর জন্য যেভাবে দলবদল পদ্ধতিটা পরিবর্তন করা হলো। সে হিসাবে আমার জবাবটা আমি মাঠে দিতে পেরেছি তা একটু বেশিই ভালো লাগছে। আসলে দেখা গেল যে, খেলোয়াড়রা ব্যাপার না। এখানে কিভাবে ‘প্ল্লেয়ার বাই চয়েজে’ দল গড়া যায়। এখানে আমি প্রমাণ করেছি কিভাবে দলকে সংগঠিত করে তা সার্থক করা যায়।
প্রশ্ন : বৈরিতা ব্যক্তিগত বিষয় কিনা?
বাদল : এটা আমি বলতে পারবো না। আপনারা দেখেছেন যে, গত দুবছর ধরে আমাকে কিভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। আসলে আমরা একটা ক্লাব রাজনীতির শিকার। দলবদলের আগের দিন আমাকে একটা ক্লাব থেকে দল নিয়ে বের হয়ে যেতে হয়েছে। বৈরিতার জন্য নয়, ওই খেলোয়াড়গুলোর সঙ্গে কমিটমেন্ট ধরে রাখার জন্য আমি কিন্তু আবার দল কিনেছি। যেহেতু আমি নিজের টাকায় দল গড়েছি। সেহেতু আমি নিজের দল নিজের মতো গড়েছি।
প্রশ্ন: আপনার দলের নাম পরিবর্তন হবে কিনা?
বাদল : নাম পরিবর্তন করতে গিয়েও কিন্তু বৈরিতার স্বীকার আমি। আমি লিখেছি ব্র্যাকেটে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ লেখার জন্য। বোর্ডে তিনটা চিঠি দিয়েছি উত্তর দেয়নি একটিরও। আপনারা জানেন যে, আমি রূপগঞ্জের ছেলে। সেখানে আমি একটি ক্রিকেট একাডেমি করছি এবং শচীনের সঙ্গে কথা হয়েছে হয়তোবা শচীনও থাকবে। বিশ্বমানের একটা একাডেমির জন্য আমরা জমি কিনেছি। এটা করতে ২-৩ বছর লাগবে।
প্রশ্ন: দুবার চ্যাম্পিয়ন হলেন? এটা কিভাবে এর রহস্য কি?
বাদল : আমার মনে হয় সব ক্লাবই খেলোয়াড়দের পেমেন্ট দিয়েছে। একটা টিমকে কিভাবে একত্রিত করে একটা পরিবারভুক্ত করা যায় এটা আমি খেলোয়াড়দের মাঝে তৈরি করতে পেরেছি এবং এ কারণেই আমরা জিতেছি। আপনি যদি লোকাল খেলোয়াড় বলেন, বিদেশি বলেন সেই অনুভূতি আমি তৈরি করেছি। আমার কাছে মনে হয় এখানে টাকা কোনো ফ্যাক্টর নয়। এই যে মায়াটা, আপনি জেনে থাকবেন যে শচীন আমাকে দাওয়াত দিয়েছে। দাওয়াত বড় নয়, আমি তুচ্ছ। আমার জন্য তার যে একটা টান, আমাকে দুইটা ম্যাচে দাওয়াত করেছিল। আমি দুটোই দেখেছি। খেলা শেষের পরের দিন আমাকে নাস্তার টেবিলে আমন্ত্রণ করেছিল। এগুলো জাস্ট আন্তরিকতা।
প্রশ্ন: শচীনের ভূমিকা কি হবে আপনার একাডেমিতে?
বাদল : শচিন আমার সঙ্গে থাকবে বলেছে। নামকরনের ব্যাপারে শচিনের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমার সঙ্গে সে রকমই কথা হয়েছে, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ নামটা যেদিন আমরা বোর্ড থেকে অনুমোদন পাব সেদিন আমরা একটা গ্র্যান্ড প্রোগ্রাম করবো। সেখানে সে আসবে।
Posted ০২:৪৫ | শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin