বৃহস্পতিবার ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেঞ্চ টেবিল নেই মাদ্রাসায় মাটিতে বসে ক্লাস

  |   মঙ্গলবার, ০৭ আগস্ট ২০১৮ | প্রিন্ট

বেঞ্চ টেবিল নেই মাদ্রাসায় মাটিতে বসে ক্লাস

ডেস্ক রিপোর্ট : চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ, ব্ল্যাকবোর্ড কিছুই নেই, তবুও চলছে মাটিতে বসে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নজর না পড়ায় ২৮ বছর ধরে নানা সমস্যার মধ্যে পাঠদান করে আসছে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের পিংনা গ্রামের দক্ষিণপাড়া এলাকায় মুন্সী মুহাম্মদ আলী স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাদ্রাসাটিতে পাটের চট পেতে ব্ল্যাকবোর্ড ছাড়াই চলছে শিশুদের পড়ালেখা। ২৪ বছর আগে মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হলেও সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

জানা যায়, জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের পিংনা গ্রামের পশ্চিম এলাকায় ১৯৯০ সালে মুন্সি মুহাম্মদ আলী স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চল এলাকায় এ মাদ্রাসাটি চার বছর পর ১৯৯৪ সালে এমপিওভুক্ত হয়। এলাকার আশপাশে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান না থাকায় শিক্ষার মান বৃদ্ধি পায়, শিক্ষার আলোর দেখা পায় দুর্গম নদীভাঙন মানুষরা। কিন্তু ২০০৬ সালে বন্যায় পানির স্রোতে যমুনা নদীতে বিলীন হয়ে যায় মাদ্রাসাটি। এরপর সরকারি কোনো সহায়তা না পেয়ে পিংনা দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে শিক্ষক, অভিভাবকরা টিনশেড ঘর তুলে পাঠদান করে আসছিল। ১২ বছর মসজিদের পাশে পাঠদান দিয়ে আসছিল শিশু-কিশোরদের। দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে মুন্সি মুহাম্মদ আলী স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাটির ভাগ্যে জোটেনি কোনো টাকা বরাদ্দ বা কোনো অনুদান। পরে ২০১৭ সালে নতুন করে স্থায়ীভাবে পাঠদানের জন্য সুজাত আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুল হাসান সাইদ ২৫ শতাংশ জমি মাদ্রাসার নামে লেখে দেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বর্তমানে ওই ২৫ শতাংশ জমিতে টিনশেড কাঁচা মাটির চার চালা ঘরে, জানালা, দরজা, বেঞ্চ, টেবিল, ব্ল্যাকবোর্ড নেই। টিউবওয়েল, শৌচাগার, বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও নেই। তবুও চলছে মাটিতে পাটের চট বিছিয়ে পাঠদান। তিনটি শ্রেণিকক্ষ ও একটি অফিস। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের কিছুই না থাকলেও চারজন শিক্ষকের অফিস কক্ষে দেখা গেল একটি চেয়ার, একটি টেবিল, কাগজপত্রের দুটি ফাইল ও একটি বেঞ্চ, যেখানে সহকারী শিক্ষকরা বসেন। মাদ্রাসায় ৪ জন শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান, সহকারী নুরুল ইসলাম, মোজ্জাফর হোসেন এমপিওভুক্ত।

শিক্ষার্থীরা জানায়, বেশিক্ষণ বসে থাকলে চট কাঁচা মাটিতে ভিজে যায়, পায়ে-কোমরে ব্যথা করে। জমিদাতা অধ্যক্ষ সাইদুল হাসান সাইদ বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে শিশু-কিশোরদের জন্য ২৫ শতাংশ জমি মাদ্রাসার নামে দান করেছি।

প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান বলেন, মাদ্রাসায় কোনো সরকারি অনুদান বা বরাদ্দ কিছুই পাইনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মাদ্রাসার ফার্নিচার চেয়ে আবেদন করেছি। সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ মহোদয়দের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদউল্লাহ জানান, তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ফিরোজ আল মামুন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে উপজেলা পরিষদ থেকে সহায়তা দেওয়া হবে। শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে মাদ্রাসাটি নিয়ে কথা বলেছি। সূত্র : সমকাল

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১২:৫৮ | মঙ্গলবার, ০৭ আগস্ট ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com