নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
কিছুটা কমার পরে আবারও বেড়েছে নিত্যপণ্য আলু ও পেঁয়াজের দাম। আলুর দাম কেজিতে বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। আর পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। বৃষ্টির অজুহাতে বেড়েছে সবজির দামও।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি জাতের পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা। দুই সপ্তাহ আগেও ২০-৩০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে ৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা। নতুন আলু ৭০-৮০ টাকা।
ক্রেতারা বলছেন, বাজার তদারকি না থাকায় ইচ্ছেমত দাম নিচ্ছে বিক্রেতারা।
রাজধানীর সবুজবাগের মদীনাবাগ বাজারে একজন ক্রেতা বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে আলু কিনলাম ৫০ টাকায় এখন ৬০ টাকা চায়। নতুন আলু উঠার পরেও দাম কমতাছে না। কি একটা ফাইজলামি শুরু করেছে।’
একই দোকানে পেঁয়াজ কিনতে আসা আরেক ক্রেতা বলেন, ‘এই পেঁয়াজ সারা বছর ভোগাইল। এখনো ভোগাচ্ছে। আমদানি করার পরেও দাম কমছে না। এসব দেখার কেউ নাই।’
বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে আড়তে দাম বাড়তি। তাই খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। আর কিছু দিনের মধ্যেই স্বাভাবিক হবে আলু পেঁয়াজের দাম।
মদীনাবাগ বাজারের আলু ও পেঁয়াজ বিক্রেতা সাইফুল বলেন, কিছুদিন আগে আমরাই কম দামে বিক্রি করেছি। এখন আমাদের কেনা বেশি পড়ছে। তাই বেশি দামে বেচতে হচ্ছে। আর কিছু দিন গেলে হয়তো দাম কমবে। নতুন আলু পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। এখন নতুন নতুন, তাই দাম বেশি।
এদিকে বৃষ্টির অজুহাতে কিছুটা বেড়েছে সবজির দাম। বাজারে লম্বা বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা, গোল বেগুন ৫০-৬০ টাকা, ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা, একই দামে বাঁধা কপি। শিম ৬০-৭০ টাকা, পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, ঢেরস ৭০-৮০ টাকা মান ও সাইজভেদে লাউ ৪০-৬০ টাকা, কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। যা অধিকাংশ সবজি গেল সপ্তাহে ১৫-২০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে।
লাল শাক ১০-১৫ টাকা, পালং শাক ১৫-২০ টাকা, মুলা শাকা ১০-১৫ টাকা, সরিষা শাক ১০-১৫ টাকা আঁটি বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে বাজারে দোকানের তুলনায় ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কম দেখা গেছে।
Posted ০৮:২৬ | শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain