শাহরিয়ার মিল্টন | বুধবার, ০৮ মে ২০২৪ | প্রিন্ট
শেরপুর : বুনোহাতির পাল তান্ডব চালিয়ে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বারমারী সাধু লিওর খ্রিষ্টধর্মপল্লীতে স্থাপিত ফাতেমা রাণীর তীর্থস্থানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে । মঙ্গলবার (৭ মে) রাতব্যাপী বুনোহাতি তান্ডব চালিয়ে ওই ধর্মপল্লীর ক্রুশ ও গম্বুজ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। সুত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে ৪০/৫০ টির একদল বুনোহাতি খাবারের সন্ধানে কাঁটা তারের বেড়া ভেঙ্গে সাধু লিওর খ্রিষ্টধর্মপল্লীতে ঢুকে পড়ে তান্ডব চালাতে থাকে। এসময় ওই ধর্মপল্লীর ফাতেমা রাণীর তীর্থস্থানে স্থাপিত ৪ টি ক্রুশ ও ৩ টি গম্বুজ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। এ
কইসাথে মিশন এলাকার মাদার মেরির মূর্তির চারপাশের লোহার গ্রিলের ক্ষতি করে। এছাড়া গাছের কাঁঠাল খেয়ে সাবার করেছে হাতির পাল। ধর্মপল্লীর ভেতর বসবাসরতদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। তারা গ্রামবাসীদের সহায়তায় মশাল জ্বালিয়ে ডাকচিৎকার করে খরকুটায় আগুন লাগিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে হাতির দলটি ভোররাতে মিশন এলাকা ত্যাগ করে।
বারমারী সাধু লিও খ্রিষ্টধর্মপল্লীর পালপুরোহিত রেভারেন্ড ফাদার তরুণ বনোয়ারী জানান, মঙ্গলবার রাতে কাঁটা তারের বেড়া ভেঙ্গে হাতির দল মিশন এলাকায় প্রবেশ করে ৪ টি ক্রুশ ও ৩ টি গম্বুজ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। এতে প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমরা সারারাত নির্ঘুম থেকে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় হাতি তাড়িয়েছি।
উল্লেখ্য, গত প্রায় ২০ দিন যাবত বুনোহাতির পালটি নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ি বিভিন্ন এলাকায় তান্ডব চালিয়ে কৃষকের বোরো ফসল খেয়ে সাবার করেছে। বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে লন্ডভন্ড করেছে। এমনকি ওই এলাকার বাতকুচি গ্রামের কৃষক উমর আলী মিস্ত্রিকে শুঁড় দিয়ে পেচিয়ে পিষে হত্যা করে। দীর্ঘ দুই যুগ ধরে এভাবে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করলেও হাতির অত্যাচার বন্ধে স্থায়ী কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে না বলে এলাকাবসী জানান।
Posted ১৫:৪৩ | বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin