| মঙ্গলবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট
বিয়ের আগে সাক্ষাৎ করে সেলফি তোলার অভিযোগে বাগদত্তা এক তরুণী ও তার প্রেমিককে খুনের অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানে। পারিবারিক সম্মানহানির অভিযোগে ওই যুগলকে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।
পাকিস্তানি দৈনিক ডন বলছে, ১৯ বছরের ওই তরুণীকে বিষ খাইয়ে এবং প্রেমিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গত মাসে দেশটির করাচি এবং সোয়াত শহরে এ ঘটনা ঘটলেও প্রকাশ্যে এসেছে সোমবার।
ডন বলছে, করাচির পীরাবাদ এলাকার ওরাঙ্গি শহরে ওই তরুণীকে বিষপ্রয়োগে হত্যা করেন তার বাবা। অন্যদিকে তার বাগদত্তা প্রেমিক সালমানকে সোয়াতে গুলি করে হত্যা করে তার পরিবার। নিহত এই যুগল মামাতো ভাই-বোন ছিলেন।
পীরাবাদ পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আয়াজ ব্রোহি বলেন, মেয়েকে হত্যার অভিযোগ এনে তরুণীর মা মামলা দায়ের করেছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে ওই তরুণীর বাবা এবং দাদাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর তরুণীর বাবা বলছেন, তার মেয়ে কাসবা কলোনিতে তাদের বাড়িতে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ কর্মকর্তা আয়াজ বলেন, ম্যারিনা নামের ওই তরুণী মারা গেছেন গত ৭ নভেম্বর। আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করে তার বাবা ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনরা তাকে দাফন করেছে। ম্যারিনার মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়নি।
ওই তরুণীর মা বলেছেন, ম্যারিনার সঙ্গে সালমানের বাগদান সম্পন্ন হয়েছিল। হত্যার কয়েকদিন আগে তারা সোয়াতে তাদের এক আত্মীয়ের বাসায় গিয়েছিলেন। সেখানে সাক্ষাতের পর তারা স্মার্টফোনে সেলফি তোলেন। আর এই বিষয়টিকে ভালোভাবে নিতে পারেনি তরুণীর স্বজনরা।
আরও পড়ুন : কাতারের সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক দূরভিসন্ধি দেখছে আমিরাত
আয়াজ ব্রোহি বলেন, তরুণীর মায়ের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার ভাইয়ের ছেলেকে সোয়াতে তথাকথিত পারিবারিক সম্মান রক্ষার নামে হত্যা করেছে পরিবারের সদস্যরা। পরে তার মেয়েকেও হত্যা করেছে ম্যারিনার বাবা।
এদিকে, অনার কিলিংয়ের শিকার এই যুগলের মরদেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক ফারুক জানজুয়া বলেছেন, মামলায় তিনজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে তারা পলাতক। খুনের ২০-২৫ দিন আগে এই যুগলের আংটি বদল হয়েছিল।
সূত্র : ডন।
Posted ১৪:২৯ | মঙ্গলবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain