নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪ | প্রিন্ট
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলতে আগামীকাল সকালে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এবারের টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে থেকেই রান পাচ্ছিলেন না টাইগারদের টপ অর্ডার ব্যাটাররা। চলমান আসরজুড়েও ব্যর্থই হয়েছে ব্যাটিং বিভাগ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে মাঠে নামার আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন টাইগারদের ব্যাটিং কোচ নিক পোথাস। সেখানেই কথা বলেছেন ব্যাটারদেররান না পাওয়া নিয়ে।
টাইগারদের ব্যাটিং কোচ জানিয়েছেন, শুধু বাংলাদেশের ব্যাটাররাই নয়, এবারের আসরে সব দলের ব্যাটাররাই ভুগেছে। তিনি বলেন, ‘শুধু আমাদের ব্যাটারদের কথা বললেই হবে না। পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে সব ব্যাটারদেরই সংগ্রাম করতে হয়েছে। ব্যাটিং এমন কেন হলো এটা ভাবতে গেলে একটু অন্য গ্রুপগুলোর সাথে তুলনা করা উচিৎ। নিউইয়র্কে উইকেট কেমন ছিল সবাই দেখেছে। সেন্ট ভিনসেন্টেও এতটা সহজ ছিল না। ব্যাটাররা আপ্রাণ চেষ্টা করছে।’
ভারতীয় ব্যাটারদের উদাহরণ টেনে পোথাস আরও বলেন, ‘ভারতীয় দলে দেখুন, রিশভ পান্টের উইকেটে সেট হতে ১০ বল খেলতে হচ্ছে। শুরুতে সে খুবই শান্ত ছিল। হার্দিক ও দুবেও ঠিক একই কাজ করেছে। কারণ এখানে খেলাটা পাওয়ারের। দিনশেষে তারা কিন্তু বড় বড় ছক্কা হাঁকিয়েছে। শক্তিই আসল জিনিস টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। আপনার হাতে শক্তি থাকলে আপনি শান্ত থেকেই খেলতে পারবেন।’
টাইগার ব্যাটারদের পাওয়ার হিটিংয়ের ব্যাপারে জোর দেয়ার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘জেনেটিক্যালি পাওয়ার আপনি পাবেন না। তাই আপনাকে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। আমরা দেখেছি রিশাদের ব্যাটিং। নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে এখন পর্যন্ত সে খুব দ্রুত অনেক উন্নতি করেছে। তবে পাওয়ার তৈরি করতে সময় লাগবে। আপনাকে শক্তিশালী হতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পাওয়ার খুঁজতে হয় না। তাদের খেলোয়াড়রা জন্মগতভাবেই শক্তিশালী। আমাদের তা নেই, তাই ভিন্নভাবে এটা অর্জন করতে হবে।’
পাওয়ার হিটিংয়ের কল্যাণেই দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রিস্টান স্টাবসের মত ক্রিকেটাররা এত ভালো খেলছেন জানিয়ে পোথাস আরও বলেন, ‘পুরো বিশ্বের সব ক্রিকেটার আইপিএলে যায়। স্টাবসের মতো বাচ্চা ছেলেও আইপিএলে যাচ্ছে কারণ সে জোরে মারতে পারে। আইপিএলের আগে সে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়েও খেলেনি। কিন্তু পাওয়ারের কারণে এত এত টাকা কামাচ্ছে। পাওয়ার ইজ কি। কেউ জন্মগতভাবে পায়, কেউ অর্জন করে। তাই পাওয়ার অর্জনের কোনো না কোনো পথ বের করতে হবে।’
Posted ১০:৫৪ | সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain