| শনিবার, ০৮ মার্চ ২০১৪ | প্রিন্ট
মিহির মোহন, বার্মিংহাম : নগর বার্মিংহাম। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এ নগরে বসবাস করতেন আফরোজ মিয়া (হাতেম তাই নামে যিনি পরিচিত) সবুর চৌধুরী,জান আলমের মতো অনেক জ্ঞানীগুণী ত্যাগী নেতারা। কিন্ত সে সুনাম আর কমিউনিটিতে নেই। এখন বেশীর ভাগ লোকেরা কমিউনিটি নেতা হিসেবে পরিচিত হতে চান। কিন্ত যাদের আদৌ কমিউনিটির স্বাথে কাজ করার বা নেতার হবার যোগ্যতা নাই। ফলে এ নগরে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে কমিউনিটির ভাবমূতি দিন দিন লুন্ঠিত হচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ বামিংহাম হাইকমিশন আয়োজিত বিমান ও পযটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের মতবিনিময় সভায় প্রকাশ্য হয়ে গেলো কতিপয় কমিউনিটি নেতাদের আসল রুপ। হাইকমিশন বিকেল সাড়ে তিনটায় মতবিনিময় সভার আহবান জানালে দুপুর থেকে আমন্ত্রিত লোকেরা হাইকমিশনে উপস্থিত হন।
সামনের কয়েকটি আসনে রিজাভ লেখা থাকায় প্রথমে উপস্থিতে লোকেরা দ্বিতীয় সারি থেকে বসা শুরু করেন। কিন্ত জাতীয় পাটির নেতা নাসির উদ্দিন হেলাল প্রথমে রিজাভ সিটে বসে গল্পগুজব শুরু করলে, পরে এসে জাতীয় পাটির সভাপতি ফয়জুর রহমান চৌধুরী সংরক্ষিত প্রথম সারিতে বসে পড়েন।
এতে উপস্থিত আওয়ামী লীেগ নেতাদের মধ্যে কানাঘুষা শুরু হয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে পিছনে থেকে সামনের সারিতে আওয়ামী লীগের নেতারা চলে আসেন। অনেক নেতাকে রিজাভ লেখা ছিড়ে ফেলতে দেখা গেছে।পরে মন্ত্রী উপস্থিত হবার সাথে সাথে সিনিয়র দুজন নেতাকে পিছনের সিটে যাবার অনুরোধ জানালে তারা সিট ছেড়ে দেন। হাইকমিশনার সভার শুরুতে মন্ত্রীর আগমন নিয়ে সুচনা বক্তব্য রাখেন। পরে মন্ত্রী বর্তমান সরকারের বিমান ও পযটন নিয়ে সুদুর প্রসারী পরিকল্পনার কথা ব্যক্ত করেন। পরে মন্ত্রী উপস্থিত কমিউনিটির লোকদের কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন জানতে চান।
এতে ট্রেভেলস মালিক থেকে শুরু করে কমিউনিটির প্রবীন মুরব্বী খলিল সাহেব, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ইব্রাহীম আলী, বিশিষ্ট মুরব্বী শেখ মোঃ আব্দুল গফুর, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ আকমল খান, মিডল্যান্ডস আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম বেলালসহ অনেকে বিমানের অনিয়ম, যাত্রী হয়রানী নিয়ে তিক্তকর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন এবং পযটন নিয়ে কক্সবাজার, হিমছড়ি, পতেঙ্গা, রাঙামাটি, বান্দরবনসহ সিলেটের হাওর এলাকাতে পযটন শিল্প গড়ে তোলার আহবান জানান। কমিউনিটির প্রবীন মুরব্বী ও রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব আজির উদ্দিন সাহেবের বক্তব্যের জের ধরে মন্ত্রীর সামনে কমিউনিটি লোকেরা হাতাহাতি জড়িয়ে পড়েন।
তিনি বক্তব্যে বিমানের অনিয়মের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি বতমান হাইকমিশনার বিপক্ষে কথা বলতে গেলে বিশিষ্ট সংস্কৃতি কমী জয়দেব দে দুলু তাকে এ অভিযোগ থেকে বিরত থাকার কথা বললে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং অনেক প্রগতিশীল নেতাদের জয়দেব দুলুর সাথে বিরুপ আচরণ সবার চোখে পড়ে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে প্রবীণ রাজনীতিবিদ ইব্রাহীম আলী, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আকমল খান, জাসদ নেতা হুমায়ুন কবীর চৌধুরীর বক্তব্যে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পরে মন্ত্রী বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ও সরকারের আগামী দিনের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। উল্লেখ্য যে, যারা হাইকমিশনারের বিপক্ষে বক্তব্যকে সমথন করেছিলো মন্ত্রীর সাথে ফটো সেশনে তারা খুব ব্যস্ত ছিলেন এবং অনেক টেবিলের নিচ দিয়ে গিয়ে মন্ত্রীর সাথে ছবি উঠতে দেখা গেছে।
Posted ১০:০০ | শনিবার, ০৮ মার্চ ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin