প্রতি বছরের মতো এবারও উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। আর এই ঈদ নামাযের ইমামতি করতে প্রস্তুত ‘বিতর্কিত’ আলেম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।
তবে কিশোরগঞ্জের একাধিক সংগঠন ও সচেতন মুসল্লিরা ফরিদ উদ্দিন মাসউদকে নাস্তিক, শাহবাগী ও আওয়ামী মদদপুষ্ট ইমাম হিসেবে উল্লেখ করে তার পেছনে নামাজ পড়তে নারাজ বলে জানিয়েছে।
জানা যায়, ওয়াকফ্ দলিল অনুযায়ী মাঠের ইমাম নিয়োগের ব্যাপারে মোতাওয়াল্লির ভূমিকা স্বৃীকৃত থাকলেও মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদকে ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগের পর থেকে এ নিয়ে নানা মহলে ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্ক থাকলেও ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের সাম্প্রতিক কর্মকান্ড নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে কিশোরগঞ্জে। ইতিমধ্যেই ইমামতি থেকে তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে সাধারণ ছাত্র ও মুসল্লিদের পক্ষ থেকে মানববন্ধন, মিছিল ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
এসব কর্মসূচি থেকে তাকে কিশোরগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি আগামী ঈদ জামাতে তাকে প্রতিরোধেরও ঘোষণা দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে কিশোরগঞ্জের একাধিক সংগঠন ও সচেতন মুসল্লির সঙ্গে কথা বললে তারা ফরিদ উদ্দিন মাসউদকে নাস্তিক, শাহবাগী ও আওয়ামী মদদপুষ্ট ইমাম হিসেবে উল্লেখ করে জানান- কিশোরগঞ্জসহ দেশবাসী তার পেছনে নামাজ পড়তে নারাজ। অবিলম্বে তাকে প্রত্যাহার করা হোক।
এ ব্যাপারে হয়বতনগর জমিদার বাড়ির বর্তমান উত্তরাধিকারী ও শোলাকিয়া ঈদগাহের মোতাওয়াল্লি দেওয়ান মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ্ দাদ্ খান বলেন, আমাদের নিয়োগ করা ইমাম মাওলানা আবুল খায়ের মো. সাইফুল্লাহকে বাদ দিয়ে তথাকথিত শাহবাগী আলেম ফরীদ উদ্দীন মাসঊদকে প্রশাসন কর্তৃক নিয়োগ দেয়ায় এ মাঠের মুসল্লিরা অসন্তুষ্ট। তাকে আর কেউ ইমাম হিসেবে এই মাঠে দেখতে চায় না।
তবে এই কিছুর মধ্যেও ঈদ জামাতের জন্য শোলাকিয়ায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ঈদের জামাত শুরু হবে সকাল ১০টায়। ঈদ জামাতে অংশ নিতে জেলা প্রশাসন ও ঈদগাহ্ পরিচালনার কমিটির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় প্রধান বিচারপতি ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানান পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. সিদ্দিকুর রহমান।
For News : news@shadindesh.com
Like this:
Like Loading...
Related