রবিবার ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

বিএনপির কার্যালয় থেকে লুটপাটের অভিযোগ মোশাররফের

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট

বিএনপির কার্যালয় থেকে লুটপাটের অভিযোগ মোশাররফের

নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গত ৭ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের পেটুয়া বাহিনী ভাঙচুর করার পাশাপাশি কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ফাইলপত্র, গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রসহ টাকা লুটপাঠ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ।

 

আজ (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন। এর আগে দলের স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের নিয়ে কার্যালয়ের বিভিন্ন ফ্লোর ঘুরে দেখেন খন্দকার মোশাররফ।

সংবাদ সম্মেলন থেকে গত ৭ ডিসেম্বর পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংর্ঘষের ঘটনায় নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী মুকবুল হোসেনর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।

 

খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিজয়ের মাসে কিভাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের পেটোয়া বাহিনী তছনছ করেছে। লুটপাট করেছে। নগ্নভাবে সন্ত্রাস করেছে। নজরিবহীন কর্মকাণ্ড করেছে।

 

তিনি আরও বলেন, কার্যালয়ে প্রথম ফ্লোরে আমাদের চেয়ারপারসনের অফিস। সেটি বন্ধ থাকে। কিন্তু আপনারা দেখেছেন সেটির দরজা ভেঙে কিভাবে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। তৃতীয় তলায়ও তছনছ করেছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন উপকরণ কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ফাইলপত্র, নথিপত্র সব নিয়ে গেছে।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, চতুর্থতলার আমাদের ছাত্র সংগঠনগুলোর অফিসেও ভাঙচুর করেছে। সেখানে থেকেও কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ফাইলপত্র, নথিপত্র সব নিয়ে গেছে। অ্যাকাউন্টস অফিস থেকেও সব লুটপাট করে নিয়ে গেছে।

 

তিনি আরও বলেন, বিএনপির কার্যালয়ে ৬ তলায় একটি লাইব্রেরি আছে। সেটিও তাদের বর্বরতা থেকে রক্ষা পায়নি। জিয়াউর রহমানের মুরাল পর্যন্ত ভেঙে ফেলেছে।

 

৭ ডিসেম্বর পুলিশ অতর্কিত হামলা চালিয়েছে দাবি করে মোশাররফ বলেন, যেভাবে হামলা চালিয়েছে তা বিশ্বে নজিরবিহীন। নিন্দা করার ভাষা নাই। অফিস থেকে সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে। ৪ শতাধিক নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্য ছিল ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ বানচাল করা। মধ্যমপন্থি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপি তাদের কর্মসূচি করেছে।

 

বিএনপির বিভাগীয় প্রতিটি সমাবেশে সরকার বাধা দিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, সরকার কিসের ভিত্তিতে এই ঘটনা ঘটালো তা আমাদের হিসাবে মেলে না। তাদের হিসাবে খেলা, কিন্তু বিএনপি এই খেলায় বিশ্বাস করে না। জনগণ বিক্ষুব্ধ, জনগণ রায় দিয়েছে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় আনা আওয়ামী লীগের পক্ষে সম্ভব না। জনগণ এই সরকারকে আর চায় না।

 

৭ ডিসেম্বরের সরকারের আচরণ প্রমাণ করে তারা গায়ের জোরের সরকার- এমন মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, আমরা ১০ দফা দিয়েছি। এই ১০ দফাকে সমর্থন করে যারা যুগপৎ আন্দোলন করবে তারাও কর্মসূচি দিয়েছে। নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ১৩ ডিসেম্বর নয়াপল্টন অফিসের সামনে থেকে গণমিছিল করবে বিএনপি।

 

বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে? -সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ আরও বলেন, গতকাল আমরা অফিসে (কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে) আসতে পেরেছি। কার্যালেয় থেকে কী কী খোয়া গেছে তার তালিকা করছি। তারপর সিদ্ধান্ত নেব কী করবো।

 

ব্রিফিংয়ে উপস্থিত দলটির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা প্রতিটি সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে করার চেষ্টা করেছি। বরং সরকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে প্রতিটি সমাবেশে। সরকারের নির্দেশে তাদের দলের কর্মীরা ১০ তারিখ ঘিরে এমন কোনো অপকর্ম নাই, যা করেনি। আতঙ্কিত করছে সরকার, বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে দেখিয়েছে। আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলন করবো। এই সরকারকে বিদায় জানাবো।

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৮:২৮ | সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২২

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(854 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com