| শনিবার, ০৬ এপ্রিল ২০১৯ | প্রিন্ট
মুন্সীগঞ্জের নয়াগাঁও এলাকায় রোববার (৭ এপ্রিল) বাদ জোহর পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন ঢালিউপের জনপ্রিয় অভিনেতা টেলি সামাদ। শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তার বড় মেয়ে সোহেলা সামাদ।
তিনি বলেন, স্কয়ার হাসপাতাল থেকে টেলি সামাদকে ঢাকার বাসায় নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। এদিন এশার নামাজের পর রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজার জামে মসজিদে টেলি সামাদের প্রথম নামাজে জানাজা হওয়ার কথা জানান তিনি।
টেলি সামাদের দীর্ঘেদিনের কর্মস্থল এফডিসিতে নেয়া হবে কিনা? এমন প্রশ্নে সোহেলা জানান, এফডিসি থেকে এখনো টেলি সামাদকে নেয়ার জন্য কেউ আগ্রহ দেখায়নি। তবে এফডিসি থেকে কেউ বললে অবশ্যই শেষ বারের মতো চলচ্চিত্রের সূতিকাগারে নেয়া হবে তাকে।
এদিকে টেলি সামাদের মরদেহ এফডিসি নেওয়া হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ এখন রাজারবাগের বাসায় নেওয়া হচ্ছে। সেখানে শনিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পশ্চিম রাজারবাগের মসজিদে তার প্রথম জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। আমরা আমাদের বটবৃক্ষ হারালাম। তার কাছ থেকে প্রতিনিয়ত শিখেছি। এভাবে তিনি চলে যাবেন, তা মানতে পারছি না। তাকে হারানোর ক্ষতি কখনো পূরণ হবে না।
উল্লেখ্য, শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন টেলি সামাদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
১৯৪৫ সালের ৮ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জের নয়াগাঁও এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন টেলি সামাদ। এটি তার সিনেমায় ব্যবহৃত নাম। আসল নাম আবদুস সামাদ পরিবর্তন করে সিনেমায় এসে হয়ে টেলি সামাদ নামে পরিচিত হন এ অভিনেতা।
১৯৭৩ সালে নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘কার বৌ’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা করেন সামাদ। এটি তার প্রথম সিনেমা হলেও ‘পায়ে চলার পথ’ সিনেমার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
চার দশকের অভিনয় ক্যারিয়ারে ছয় শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় এ অভিনেতা। অভিনয়ের পাশাপাশি গানেও তার দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন। গান গেয়েছেন ৫০টির বেশি সিনেমায় । এছাড়া ‘মনা পাগলা’ নামের একটি সিনেমায় সঙ্গীত পরিচালনাও করেছেন।
টেলি সামাদ পড়াশোনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায়। সর্বশেষ ২০১৫ সালে অনিমেষ আইচের পরিচালনায় তার অভিনীত ‘জিরো ডিগ্রী’ সিনেমাটি মুক্তি পায়।
Posted ২২:০৪ | শনিবার, ০৬ এপ্রিল ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain