নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
দরজায় শীত। আর এটিই সবজির মৌসুম। তাই বাজারে শীতকালীন সবজির প্রচুর আমদানি রয়েছে। তবে শুধুমাত্র মুলা ও পেঁপের দাম কিছুটা কম থাকলেও অন্য প্রায় সব সবজির দাম বেশ চড়া। এদিকে দাম কমেছে ডিমের।
এছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম।
আজ সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
বাজারে প্রতি কেজি সবজিতে দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা। আকার ভেদে পাতাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা। বাজারে শিমের কেজি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা ৬০-৮০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০-৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৭০-৮০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৬০-৮০ ও ধুন্দুল ৬০-৭০ টাকা কেজি।
এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা।
১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা আল-আমিন বলেন, বাজারে নতুন সবজি আসলেও দাম কমেনি। তবে দ্রুতই সবজির দাম কমে যাবে।
বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। এসব বাজারে রসুনের কেজি ১২০-১৩০ টাকা। আদা ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে চিনির দাম। বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। সাত দিন আগে চিনির কেজি ছিল ১১০-১১৫ টাকা। প্যাকেট চিনির কেজি ১২০-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে আটা। খোলা আটার কেজি ৬০-৬২ টাকা ও প্যাকেট আটার কেজি ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকায়।
এসব বাজারে দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে মসুরের ডালের কেজি ছিল ১১০-১২০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা।
বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা। আগে এক লিটার তেলের বোতল ছিল ১৭৮ টাকা। তেলের ৫ লিটারের বোতল আগে ছিল ৮৮০ টাকা। এখন পাঁচ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৯২৫ টাকায়। বাজারে লবনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা।
কমেছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। ফার্মের লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে লাল ডিমের ডজন ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। আগের দামে হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯৫-২০০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২২০-২২৫ টাকা।
১১ নম্বর বাজারের ডিম বিক্রেতা আশিক বলেন, ফার্মের মুরগির ডিমের দাম দাম কমেছে। বাজারের ডিমের ডজন বিক্রি করছি ১১৫-১২০ টাকায়। হাঁসের ডিমের দাম কমেনি।
বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৮০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯০০ টাকায়। কমেছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমলেও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে সোনালি ও লেয়ার মুরগি। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩১০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-২৯০ টাকায়।
মুরগির বিক্রেতা মো. নূর ইসলাম বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে সোনালি ও লেয়ার মুরগি। শীতকালে মুরগির উৎপাদন কম থাকায় দাম বাড়ে।
Posted ০৫:৫৯ | শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain