নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরপরই এ দেশ পাকিস্তানের ভাবধারায় চলতে থাকে। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছিল, তারা আসলে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে হত্যা করতে চেয়েছিল। হত্যা করতে চেয়েছিল এদেশে মানুষের ২০০ বছরের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে। সে আকাঙ্ক্ষাকে ধূলিসাৎ করে হত্যা করতে চেয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে যুবলীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড খুনি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার, পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার কার্যকর ও বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে পরশ বলেন, আমরা কিছু প্যাটার্ন দেখলেই বুঝতে পারব যে জিয়াউর রহমান কীভাবে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। যেভাবে ’৭১ সালে নারী ও শিশুদের হত্যা করা হয়েছিল, ঠিক সেভাবে ’৭৫ সালে নারী শিশুদের হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু পরিবারের সবাইকে চিরতরে মুছে ফেলার চক্রান্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। ’৭৫ এর পরে আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগের অসংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল।
যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, জিয়াউর রহমান মানুষের অধিকার নিয়ে কোনোদিন আন্দোলন সংগ্রাম করেছে? ক্যান্টনমেন্টে বসে এই দল (বিএনপি) গঠিত হলো। জিয়াউর রহমান রাজপথে কোনো আন্দোলন সংগ্রাম করে নাই। ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে তার বাসা। ক্যান্টনমেন্টে সে অস্ত্র উঠিয়ে দল গঠন করে। অগণতান্ত্রিক পন্থায় যদি কোনো দল গঠন হয়ে থাকে সেই দলের নাম হচ্ছে বিএনপি।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে কী করবে? তাদের আগের কার্যক্রমগুলো দেখেন। ক্ষমতায় এসে তারা ইনডেমনিটি জারি করল। নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য ইনডেমনিটি জারি করল। নিজেদের কুকর্মকে রক্ষা করার জন্য সে কালো আইন জারি করা হয়।
’৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে কারা, প্রশ্ন রেখে যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, তখন লজ্জা করে নাই, ওই নির্বাচন করে ৩০০ আসন পকেটে নেওয়া এবং ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার। ২০০১ সালের বিরোধী দলকে শেষ করার পাঁয়তারা করেছিল কারা? ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে আমাদের হাজার-হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করে কারা। রাতের অন্ধকারে পাড়া মহল্লা পুড়িয়ে পুকুর তৈরি করে ফেলে। এতেই প্রমাণিত হয় তারা স্বাধীনতার, স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রতি প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করেছে। তারা এদেশের সৃষ্টির যে আদর্শ সেই আদর্শের হত্যা করতে চেয়েছিল।
সবাইকে আহ্বান জানিয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা খুনিদের প্রশ্রয় দেবেন না। এখন খুনিদের বিষয়ে সতর্ক থাকবেন। এই খুনিরা খুনির রাজনীতি বোঝে, খুন করতে তারা অভ্যস্ত।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দেবে যুবলীগ।
Posted ০৯:০৪ | বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain