| রবিবার, ২৪ জুন ২০১৮ | প্রিন্ট
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অক্টোবরের মধ্যেই এবার বিনামূল্যের বই ছাপার কাজ শেষ করতে চেয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে, মুদ্রণ ব্যবসায়ীরা বিনামূল্যের বই ছাপায় আরো বেশি টাকা ধরে নতুন দরপত্র জমা দিচ্ছে। সংশ্লিষ্ঠরা অভিযোগ করছেন, সিন্ডিকেট করে এ দরপত্র জমা দিচ্ছেন মুদ্রণ ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় বই ছাপার কাজের কোন অগ্রগতি নেই।
সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে ভেস্তে যেতে বসেছে বিনামূল্যের বই আগাম পৌঁছানোর টার্গেট। এদিকে বই ছাপার কাজের সময় কম থাকায় এবার সিন্ডিকেটের চাহিদা মত দামেই শেষ পর্যন্ত বই ছাপতে হবে এনসিটিবি’র বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফেব্রুয়ারি মাসে এনসিটিবি দরপত্র আহ্বান করে। সেখানে প্রাথমিকের ১১ কোটি বইয়ের জন্য ৩৫৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা নির্ধারণ হয়। অভিযোগ আছে এই ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে ৫৫৭ কোটি টাকা ধরে দরপত্র জমা দেয়। ফলে নতুন দরপত্রে যেতে বাধ্য হয় এনসিটিবি। কিন্তু নতুন দরপত্রেও ব্যবসায়ীরা আরো বেশি টাকা প্রস্তাব করেছে।
মুদ্রণ মালিক সমিতির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, গতবার যখন আমার দরপত্র দিয়েছিলাম তারপর থেকে কাগজের দাম কমেনি। কাগজের দাম প্রতিনিয়তই বাড়ছে। এই মুহুর্তে কাগজের দাম নাও কমতে পারে।
মালিক সমিতি বলছে, এনসিটিবি বই ছাপার কাজ দেশের বাইরে দেওয়ার জন্য নতুন দরপত্র আহ্বান করেছিল।
মুদ্রণ মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি শহীদ সেরনিয়াবাদ বলেছেন, যে কারণে দরপত্রটি হলো তা সম্পূর্ণভাবে অযৌক্তিক। অথবা চেয়ারম্যান সাহেব কারো প্ররোচনায়, পরামর্শে বা করো উপদেশে অথবা কাউকে কাজটি পাইয়ে দেবার জন্য এই কাজটি করছে।
এনসিটিবি বলছে, মুদ্রন মালিকদের এসব অভিযোগের ভিত্তি নেই। বই সময়মত দিতে সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে।
এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেছেন, ওপেন টেন্ডার, এটি একটি উন্মুক্ত দরপত্র প্রক্রিয়ায় করা হয়। যাদের সক্ষমতা আছে, টেন্ডারের সকল কাজ সম্পন্ন করে দরপত্রে অংশগ্রহণ করতে পারেন তারা সকলেই। আর দরপত্র কে পাবে কে পাবে না সে বিষয়টি আমাদের এনসিটিবি’র কোনো ব্যাক্তি বা গোষ্ঠির ওপরে নির্ভর করে না।
সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেট টিভি
Posted ১৫:৪০ | রবিবার, ২৪ জুন ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain