| বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০১৪ | প্রিন্ট
ঢাকা: অবশেষে শ্রীলঙ্কাই টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালের টিকিট পেল। তবে সেটা বৃষ্টির হাত ধরে। মাঠের অবস্থা ম্যাচ শুরুর অনুপযোগী বলে আইসিসি রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে ঘোষণা করে, বৃষ্টি আইনে লঙ্কা ২৭ রানে জয়ী। যেভাবেই হোক, ২০১২ সালের শোধ নেয়া হয়েছে লঙ্কার।
গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কপালটা খারাপই বলতে হবে। কারণ রাত নয়টা ৪০ মিনিটে যখন ঝড়ো বৃষ্টি শুরু হয়, তখন তাদের স্কোর ৪ উইকেটে ৮০। দরকার ৩৭ বলে ৮১ রান। হাতে থাকা ৬ উইকেটে সেটা তোলা সহজ না হলেও অসম্ভব ছিল না।কিন্তু সেই চেষ্টা করার সুযোগটা পেল না ক্যারিবীয়রা।
এর আগে ১৬১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা হয় মারকুটে। গেইল ১ রানে থাকলেও মারকুটি স্মিথ ১৩ রান তুলে নেন। চার ওভার পর্যন্ত নির্বিঘ্নে চলা ওয়েস্ট ইন্ডিজের চলার পথে বাধ সাধলেন পেসার মালিঙ্গা।৪.১ ওভারে ভেঙে যায় ওপেনিং জুটি। দলীয় ২৫ রানে গেইল বোল্ড হলেন ৩ রানে। ওই ওভারের পঞ্চম বলে স্মিথকেও (১৭) বোল্ড করলে চাপে পড়ে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন দল।
চাপটা আরো বেড়ে যায় সিমন্স (৪) এলবিডব্লিউর শিকার হলে। ৭.১ ওভারে প্রিরাসানার বলে দলীয় ৩৪ রানে ফেরত যান সিমন্স। লঙ্কানদের দুর্দান্ত ফিল্ডিং ওয়েস্ট ইন্ডিজের চাপের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেয়। ৪ রানে থাকা স্যামুয়েলস ৪র্থ উইকেটে সঙ্গী পেলেন ব্রাভোকে। কিন্তু ১৯ বলে ৩০ রান করা ব্রাভোকে ক্যাচ বানান কুলাসেকারা। দলীয় স্কোর তখন ৪ উইকেটে ৮০। এ সময় শুরু হয় ঝড়।
শেষ পর্যন্ত ঝড় আর বৃষ্টি থেমেছে ৪০ মিনিট পর। কিন্তু পানি জমে মাঠ ততক্ষণে খেলার অনুপযোগী।
২০১২ সালের টি-২০ ফাইনালে শ্রীলঙ্কা টসে হেরেছিল। আর ম্যাচে হেরেছিল ৩৬ রানে। এবার টস জিতে ব্যাট করতে নামে লঙ্কানরা। দুই ওপেনার কুশল পেরেরা আর দিলশান নির্বিঘ্নে তিন ওভার পার করে দিচ্ছিলেন। কিন্তু তৃতীয় ওভারের শেষ বলে পেরেরা ১২ বলে ২৪ রান করে সান্তকির বলে বোল্ড হন। ওয়ান ডাউনে নামা মাহেলা শূন্য রানে হয়ে যখন ফিরে যান, দলের রান তখন ২ উইকেটে ৪১।
তৃতীয় জুটিতে সাঙ্গাকারা-ম্যাথুসের টিকে থাকার লড়াইটা নষ্ট করে দিলেন স্পিনার বদরি। ৬.২ ওভারে সাঙ্গাকারা ১ রানে থাকা অবস্থায় আনাড়ির মতো ফিরতি ক্যাচ দিলেন বদরিকে।
এরপর দিলশান আর থ্রিরিমানি বিপদ কাটানোর প্রাথমিক কাজটা করে দিলেন। ৪৯ রানে ৩ উইকেট পতনের পর চতুর্থ জুটিতে ৪২ রান যোগ করেন তারা। এর আগে ১০ ওভারে দলের দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৬৫। দিলশান ব্যক্তিগত ৩৯ রানে রান আউট হন আর ১৭ ওভার শেষে ৪৪ রানে থাকা থিরিমানি ক্যাচ দিলেন সান্তকির বলে। দলীয় স্কোর ৫ উইকেটে ১২১ রান। ১৯ ওভার শেষে স্কোর ১৪৫। ৩০ রানে থাকা ম্যাথুস ছক্কা আর চার দিয়ে সংগ্রহ বাড়িয়ে নিয়ে গেলেন ১৬০ রানে। শেষ পর্যন্ত ম্যাথুস ২২ বলে ৪০ রানে আর প্রেরাসানা ৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
Posted ১৮:৪৩ | বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin