নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০১ আগস্ট ২০২৪ | প্রিন্ট
ফরিদপুর জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে তল্লাশি করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৩টা থেকে এ তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। অভিযান চলে বিকেল প্রায় সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। অভিযানকালে বিভিন্ন ধরনের পুস্তক, চাঁদা আদায়ের রশিদ, চেক বইয়ের পাশাপাশি ১২টি ককটেল সদৃশ বস্তু উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহাম্মদ ইমদাদ হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাহউদ্দিন, ফরিদপুর কোতয়ালি থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদপুর জেলা জামায়াতের কার্যালয়টি শহরের প্রধান মসজিদ হিসেবে পরিচিত চকবাজার জামে মসজিল সংলগ্ন মার্কেটের চার তলায় অবস্থিত।
স্থানীয়রা জানান,অভিযানকালে পুলিশ চার কক্ষ বিশিষ্ট ওই কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি চালায়। তল্লাশির একপর্যায়ে একটি কক্ষে একটি মোটা কাগজের কার্টন বক্সে রাখা সাতটি এবং চিলে কোঠায় ওঠার সিঁড়ির পাশে একটি ঝুলন্ত ব্যাগে রাখা পাঁচটিসহ মোট ১২টি ককটেল সদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে নয়টি লাল রঙের টেপ এবং তিনটি কালোরঙের টেপ পেঁচানো রয়েছে। ওই বস্তুগুলো পরে একটি কালো ও একটি লাল রঙের প্লাস্টিকের বালতিতে রাখা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান বলেন, তালা ভেঙে জেলা জামায়াত অফিসে এ অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করা হয়নি। তবে ১২টি ককটেল সদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জামায়াতের ফরিদপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক সহকারি আব্দুর তাওয়াব বলেন,জামায়াত অফিসে বই ছাড়া কিছু ছিল না। ওই অফিসে ককটেল কিংবা বিস্ফোরক জাতীয় কোনো বস্তু থাকার প্রশ্নই ওঠে না। সারাদেশ জানে আমাদের সঙ্গে সরকার কি ধরণের আচরণ করছে। তারা একটি স্ক্রিপ্ট করে এসব নাটক সাজাচ্ছে, বাস্তবায়ন করছে পুলিশ।
তিনি বলেন, আমাদের অফিস থেকে ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারাই ভালো জানে কোথা থেকে এই ককটেল এলো এবং কীভাবে উদ্ধার করা হলো।
Posted ১৪:১০ | বৃহস্পতিবার, ০১ আগস্ট ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain