| মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০১৯ | প্রিন্ট
পরিবারের ৫০ লাখ টাকার সম্পত্তি বিক্রি করতে চাইছিলেন মেয়ে। এতে বাধা দেয়ায় বাবার ওপর রেগে যায়। এ নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে শুরু করেন ২৬ বছর বয়সী দাভিন্দর কাউর। মেয়ের নির্যাতন সইতে না পেরে তখন বাধ্য হয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন তার বাবা গুরমিত সিং। এরপরই বাবাকে হত্যার চক্রান্ত করেন মেয়ে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২১ ফেব্রুয়ারি বাবা গুরমিত সিংয়ের চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন মেয়ে দাভিন্দর। এরপর সংজ্ঞাহীন বাবাকে মাথার পাগড়ি দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে তার মরদেহ সুটকেসে ভরে এলাকার এক খালে ফেলে দিয়ে আসেন। এই হত্যাকাণ্ডে তাকে সাহায্য করেন প্রেমিক প্রিন্স দীক্ষিত (২৯)।
এই ঘটনার সময় তার মা জাগীর কাউর বাড়িতে ছিলেন না। তখন তিনি ছিলেন জলন্দরে। মার্চের ২ তারিখে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং স্বামীর খোঁজ করেন। তখন তাকেও একই কায়দায় খুন করেন দাভিন্দর কাউর ও তার প্রেমিক প্রিন্স দীক্ষিত। এরপর মায়ের মৃতদেহ সুটকেসে ভরে একই খালে ফেলে দিয়ে আসেন তারা।
এরপর পুলিশের কাছে বাবা-মা হারিয়ে গেছে বলে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন দাভিন্দর কাউর।
গত শুক্রবার পুলিশ খাল থেকে মরদেহসহ সুটকেস উদ্ধার করে। ওই মৃতদেহটি ছিলো দাভিন্দর কাউরের মা জাগীরের। পরদিন ওই খালে সন্ধান চালিয়ে নিহত জাগীরের স্বামীর মৃতদেহটিও উদ্ধার করে পুলিশ।
এরপর দাভিন্দর কাউরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা। পরে বাবা-মাকে হত্যার দায়ে দাভিন্দর কাউর ও তার প্রেমিক প্রিন্স দীক্ষিতকে আটক করে পুলিশ।
ধরা পরার পর কাউর পুলিশকে জানান, মাত্র অল্প কিছুদিন আগে স্বামীকে ছেড়ে আসেন এবং দীক্ষিতের প্রেমে পড়েন। আর নিজের বাবাকে যেদিন খুন করেন তখন তার দুই সন্তান বাড়িতেই ছিলো।
সম্প্রতি এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
Posted ১৩:০৫ | মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain