নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
সারাবিশ্বে যত বড় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আছেন তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। তিনি সবসসয়ই ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। সেসব সামনে রেখেই সকল খুঁটিনাটি বিষয় মাথায় রেখে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
আজ দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগদান করবেন, সারাদেশ থেকে লক্ষাধিক নেতাকর্মী অংশ নেবেন। এখানকার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে, ত্রুটি বিচ্যুতি আছে কিনা সেটি পর্যবেক্ষণ করতে আমরা এসেছি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘আপনারা জানেন প্রধানমন্ত্রীর সবসময়ই ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। ইতোপূর্বে অনেকবার তার জীবননাশের চেষ্টা হয়েছে, আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। এজন্য আমরা তার নিরাপত্তাটাকে সবসময়ই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে থাকি।
তিনি বলেন, ‘আগামীকালের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে আমাদের ফোর্স ডিপ্লয়মেন্ট করেছি। আমাদের এসবি-র্যাবসহ সকলে মিলে এই ভেন্যুতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি। প্রত্যেকটা গেটে আর্চওয়ে স্থাপন করা হবে, পুরো এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছি।
ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে চারদিকে সুইপিং ও ম্যানুয়াল সুইপিং করা হবে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সাদা পোশাকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এক কথায় আমরা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি যাতে আওয়ামী লীগ উৎসবমুখর পরিবেশে কাউন্সিল সম্পন্ন করতে পারে। আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দসহ প্রধানমন্ত্রীর যাতে কোনো ধরনের নিরাপত্তার ত্রুটি না থাকে সে বিষয়টাই আজকে তদারকি করতে এসেছি।
নিরাপত্তায় হুমকি রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিশ্বে যত বড় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আছেন তার মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন সবচেয়ে বেশি রিস্কে। ৭১ এর পরাজিত শক্তিরা বার বার তার জীবননাশের চেষ্টা করেছে। অনেকগুলো প্রমাণ আপনাদের কাছে আছে, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, টুঙ্গিপাড়ায় বোমা হামলাসহ আরও অনেক ঘটনা রয়েছে। সেগুলোকে সামনে রেখে আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধি করাসহ সবগুলা খুঁটিনাটি বিষয় মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছি। যাতে নিরাপত্তার কোনো অসুবিধা না হয়।
দুই জঙ্গি ছিনতাই, নতুন জঙ্গি সংগঠনের উত্থান ও রাজনৈতিক উত্তাপ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কোনো থ্রেট আছে বলে মনে করি না। জঙ্গি দুই জন ছিনতাই হয়েছে এ ব্যপারে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আমরা বিশেষ অভিযান শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ওই জঙ্গিদের বেশ কয়েকজন সহযোগী এবং অন্য গ্রুপের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।
বাকি জঙ্গিদেরও নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়েছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘তাদেরকেও গ্রেপ্তার করতে পারব। তাই আশা করি জঙ্গিদের তরফ থেকে কোনো থ্রেট থাকবে না। জঙ্গিরা যতোবারই মাথাচাড়া দেয়ার চেষ্টা করেছে আমরা ততবারই জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি, ভবিষ্যতেও সক্ষম হব।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের সামাজিক মাধ্যম মনিটরিং করার সিস্টেম আছে। আমাদের ডিবিতে সাইবার ক্রাইম ইউনিট, সিটিটিসিতে সাইবার ইউনিট আছে। অন্যান্য সংস্থারও সামাজিক মাধ্যম মনিটরিং করার সিস্টেম আছে। আমরা মনিটরিং করে যাচ্ছি। আশা করব সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়িয়েও সমাজে কোনো অস্থিরতা তৈরি করতে পারবে না।’
Posted ০৭:২৬ | শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain