| শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২ | প্রিন্ট
স্বাধীনদেশ ডেস্ক : ডেভিড মিলার আর রাসি ফন ডার ডুসেন আইপিলের পরিচিত মুখ। এ দুজনের ব্যাটিং তাণ্ডবে রীতিমত উড়ে গেলো ভারত। তারা দুজনেই যেন অসম্ভবকেই সম্ভব করলেন ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়ের মাধ্যমে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের ওই ম্যাচে ২১১ রান করেও জিততে পারেনি ঋষভ পন্থের ভারত। সেইসঙ্গে থেমেছে তাদের টানা ১২ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড। ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২০৬ রান তাড়া করে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
ভারতের দেওয়া ২১২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮১ রানের মাঝে প্রথম তিন উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে চারে নামা ডুসেন (৭৫) এবং মিলারের (৬৪) ঝড়ো ইনিংসে শেষ পর্যন্ত সাত উইকেট ও ৫ বল হাতে রেখেই সেই লক্ষ্যে টপকে যায় প্রোটিয়ারা। তাতে নিজেদের ১৫ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে দলটি। ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতর ফরম্যাটে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড এখন এটিই।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথম ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ভারতীয় ওপেনার ঈশান কিষান এবং রুতুরাজ গায়কোয়াড় সেই আমন্ত্রণ সাদরেই গ্রহণ করেন। তাদের দুজনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়ারপ্লেতেই ৫১ রান তোলে ভারত। পাওয়ারপ্লে শেষের পরপরই ওয়েন পারনেলের বলে আউট হয়ে ফিরে যান রুতুরাজ (২৩)।
সঙ্গী হারিয়েও অপরপ্রান্তে ঈশান নিজের সহজাত ব্যাটিং করে গেছেন। তিনে নামা শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে গড়ে তোলেন ৮০ রানের জুটি। এই জুটিতেই ম্যাচে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় ভারত। দলীয় ১৩৭ রানে ঈশান (৭৬) ফিরে গেলেও ভারতের রানের চাকা সচল রাখেন চার ও পাঁচে নামা অধিনায়ক ঋষভ পন্ত (২৯) এবং সদ্য গুজরাট টাইটান্সকে আইপিএল জেতানো হার্দিক পান্ডিয়া (৩১*)। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২১২ রানের বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় ভারত।
রান তাড়ায় নেমে ওভারপ্রতি দশের ওপর রান তুলতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনার টেম্বা বাভুমা মাত্র ১০ রানে আউট হলেও দ্রুত রান তুলছিলেন কুইন্টন ডি’কক। তিনি ২২ রান করেন। ১৩ বলে ২৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে লড়াইয়ে রাখেন ডোয়েন প্রিটোরিয়াস। বাকি কাজটা সারেন ‘কিলার’ মিলার এবং ভ্যান ডার ডুসেন। ২৫ বলে ২২ রান করার পর ডুসেনের ব্যাট ভেঙে যায়। ব্যাট বদলাতেই বদলে যায় তাঁর ভাগ্য। পরের ১৬ বলে ৪৪ রান করেন তিনি। মিলার ৩১ বলে ৬৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।
Posted ০৭:৪৩ | শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Fokhrul Islam