| শনিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২০ | প্রিন্ট
স্পোর্টস ডেস্ক: গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ধাক্কায় পিছিয়ে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির চার বছর মেয়াদি নির্বাচন।
দুটি প্যানেল বর্তমান সভপাতি কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদ এবং শেখ মো. আসলামের নেতৃত্বাধীন সমন্বয় পরিষদ নির্বাচনে পরস্পরের মূল প্রতিপক্ষ। তবে সালাউদ্দিন চতুর্থবার সভাপতি পদে প্রার্থী হলেও আসলামের প্যানেলে সভাপতি পদে কোনো প্রার্থী নেই।
এর বাইরে বিগত কমিটির সহ-সভাপতি বাদল রায় সভাপতি পদের জন্য সময় শেষ হওয়ার পরে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেও ব্যালট পেপারে তার নাম থাকছে। সেক্ষেত্রে সভাপতি পদে অপর দুই প্রার্থীর চেয়ে বেশি ভোট পেলে তিনি বিজয়ী হবেন।
আরেক সাবেক ফুটবলার শফিকুল ইসলাম মানিক স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন সভাপতি পদে। এদিকে আগের কমিটির সহ-সভাপতি তাবিথ আউয়ালও একই পদে নির্বাচন করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে।
করোনাকালে ক্রীড়াঙ্গনে উত্তাপ ছড়ানো বাফুফের এবারের নির্বাচনে ১৩৯ জন ভোটার। ২১ পদের বিপরীতে প্রার্থী সংখ্যা ৪৭। এর মধ্যে সভাপতির একটি পদের জন্য তিনজন, সিনিয়র সহ-সভাপতির একটি পদের জন্য দু’জন, চারটি সহ-সভাপতি পদের জন্য আটজন এবং ১৫ সদস্য পদের জন্য লড়বেন ৩৪ জন।
হোটেল সোনারগাঁওয়ে সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) শেষে বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। কাউন্সিলরদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবের রয়েছেন ৫৩ জন, জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ৭২ জন এবং অন্যান্য ভোটার ১৪ জন।
সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন। গত ১২ বছর ধরে এই পদে থাকা কাজী সালাউদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বী শফিকুল ইসলাম মানিক। নির্ধারিত সময়ের পর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় বর্তমান সহ-সভাপতি ও সাবেক তারকা ফুটবলার বাদল রায়ের নামও ব্যালট পেপারে থাকবে।
সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আবদুস সালাম মুর্শেদীর প্রতিপক্ষ সাবেক তারকা ফুটবলার শেখ মো. আসলাম। চারটি সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী আটজন। বর্তমান তিন সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ, মহিউদ্দিন আহমেদ মহি ও তাবিথ আউয়াল ছাড়াও এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এসএম আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ, শেখ মো. মারুফ হাসান, আমিরুল ইসলাম বাবু, আতাউর রহমান মানিক ও ইমরুল হাসান।
চতুর্থ মেয়াদে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সালাউদ্দিন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি মেজর জেনারেল (অব.) আমিন আহমেদ চৌধুরীকে ৬২-৪৯ ভোটে হারিয়েছিলেন। ২০১২ সালে সভাপতি পদপ্রার্থী আবদুর রহিম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
ফিফা পর্যবেক্ষক মণিলাল ফার্নান্ডো সালাউদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। ২০১৬ সালে ‘বাঁচাও ফুটবল পরিষদের’ সভাপতি প্রার্থী কামরুল আশরাফ খানকে ৮৩-৫০ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে তৃতীয়বার নির্বাচিত হন সম্মিলিত পরিষদের কাজী সালাউদ্দিন।
এবারের নির্বাচনে সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদ ২১টি পদের সবগুলোতেই প্রার্থী দিয়েছে। তবে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (বিডিডিএফএ) ও বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন (বিএফসিএ) সমর্থিত শেখ মো. আসলামের নেতৃত্বাধীন সমন্বয় পরিষদ সভাপতি ও একজন সহ-সভাপতি বাদে ১৯ জনের প্যানেল দিয়েছে।
Posted ১৩:১৫ | শনিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain