| রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট
কূটনৈতিক প্রতিবেদকঃ
শেষ সময়ে এসে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত ঐকমত্যে পৌছেছে। শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি ভারতের আনুকূল্যের প্রেক্ষাপটে অনেকটা হেনস্থের শিকার হচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহ ধরে দেন দরবার ও শলা পরামর্শ শেষে দুই শক্তি ঐক্যমত্যে পৌছে যে, বাংলাদেশের নির্বাচনে জনগনের ভোটাধিকারের পক্ষে থাকবে তারা। আর তাদের এই সিদ্ধান্তটি দু’পক্ষই পৃথক ফোনে সেনা, নৌ , বিমান ও পুলিশ প্রধানকে অবহিত করেছে।
সেনা বাহিনী সূত্র জানিয়েছে এই ফোন পাওয়ার পর শুক্রবার রাতে ঢাকা সেনানিবাস উত্তপ্ত ছিল। সেনা প্রধানের নির্দেশ অমান্য করায় তিনজন ব্রিগেডিয়ারকে তাৎক্ষনিক বরখাস্ত করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বরত সেনা অফিসারদের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রাতেই পৌছানো হয় বলে সূত্রটি জানায়। তবে পুলিশ বাহিনী সূত্র দাবি করেছে, পুলিশ প্রধান ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ফোন পাওয়ার পর পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে রাতেই বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে তিনি বিষয়টি উত্থাপন করলে র্যাব প্রধান বেনজির আহমেদ ও ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া তার নির্দেশনার তীব্র বিরোধীতা করেন। রাত সাড়ে তিনটায় ওই বৈঠক মূলতবী করা হয়। তারা পুনরায় শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় পুলিশ সদর দপ্তরে বৈঠকে বসে বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।
সেনা বাহিনীর প্রাপ্ত নির্দেশনা জানতে সেনা আন্তঃসংযোগ পরিদপ্তরে যোগাযোগ করা হলে এই বিষয়ে কোন তথ্য জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। ডিএমপি’র মুখপাত্র বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতার জন্য পুলিশ প্রধানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দফায় দফায় বৈঠক করছেন । তবে বৈঠকের এজেন্ডা আমার জানা নেই।
এদিকে বিমান বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন নির্বাচনের দিন বিমান বাহিনীর ৩০টি প্লাটুন সার্বক্ষনিক প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশনা রয়েছে। এর বেশি আমার জানা নেই।
সেনা বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ গ্রহনের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে কোন সতর্ক বার্তা দেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হয়। এর জবাবে জাতিসংঘের মহাসচিবের পক্ষে তাঁর মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের চলমান নির্বাচন প্রক্রয়ায় পুলিশের নেতিবাচক ভূমিকা বন্ধ করতে ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিক আহবান জানিয়েছেন। যেহেতু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষায় জাতিসংঘের হয়ে কাজ করছে সেহেতু বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুনাম যাতে ক্ষুন্ন না হয় তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব জাতিসংঘ মহাসচিবের রয়েছে। আর এজন্য বাংলাদেশের বর্তমান নির্বাচন নিয়ে জনমনের শংকা ও অনিশ্চিয়তা কাটাতে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
Posted ০৭:২৩ | রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Mahbub