নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট
অনলাইন ডেস্ক :জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, আগামী নির্বাচন কখন হবে, সেই নির্বাচন সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে হবে কিনা— এসব নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বলে। গণঅভ্যুত্থানের বৃহৎ একটি অংশ চাইছে না আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। তারা বলছে, গণহত্যাসহ সব বিচার শেষ করে নির্বাচন হবে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগকে কি নির্বাচনে আনা হবে, আওয়ামী লীগ কি নির্বাচন করবে— এসব প্রশ্ন রয়েছে মানুষের মাঝে।
তিনি বলেন, দেশের নির্বাচনের ভবিষ্যৎ বিবেচনা করে আগামী নির্বাচনের পথ পাড়ি দিতে হবে। অন্যথায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মতো আগামী নির্বাচনগুলোও প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনে আসে, তাহলে নির্বাচনের মাঠের পরিবেশ কী হবে, আবারো কি বাংলাদেশ রক্তপাতের দিকে যাবে? আর এসব প্রশ্ন থাকলেও কেউ আলোচনা করছে না। তবে আলোচনার মাধ্যমে এসব প্রশ্নের সুরাহা হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, বিগত ১৫ বছর বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের অবৈধ শাসন টিকিয়ে রাখতে স্বাধীনতার পক্ষে বিপক্ষের কথা বলে জাতিকে বিভক্ত করে রেখেছিল। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জাতিকে বিভাজিত করে রাখা হয়েছিল। তবে এখন সেই অবস্থার উত্তরণ হচ্ছে। সবাইকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে বাংলাদেশি হতে হবে। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের স্বার্থে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
বিএনপির এই নেত্রী বলেন, দেশে অর্থনৈতিক স্থবিরতা চলছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ সেভাবে হচ্ছে না। বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীল পরিস্থিতি প্রয়োজন। সেদিক থেকে চিন্তা করলে অর্থনৈতিক স্থবিরতা কাটাতে নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। তাই আমরা আশা করব… অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদের একটি রোডম্যাপ দেবে… যে কী কী সংস্কার কতদিনের মধ্যে সম্পন্ন করে মানুষের ক্ষমতা মানুষের হাতে ফিরিয়ে দেবে। প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের প্রাথমিক ধারণা দিয়েছেন। তবে নির্বাচনের রোডম্যাপের বিষয়ে আরো পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন।
রুমিন ফারহানা বলেন, পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তিসহ নানা মহল ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত, তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বিঘ্নে দেশ পরিচালনা করার সুযোগ দিতে রাজি না। সেক্ষেত্রে নির্বাচিত সরকার যেভাবে দেশের সমস্যা মোকাবিলা করতে পারে, সেটি অন্য কোনো সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই দেশ ও জনগণের স্বার্থে দ্রুত একটি নির্বাচন দিলে সবার জন্যই মঙ্গলজনক হবে।
মতবিনিময় সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিরুল হক, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ. বি. এম. মোমিনুল হক এবং জেলায় কর্মরত বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
Posted ১৭:০৬ | মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain