নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
রাজধানীর বাজারগুলোতে চড়া হয়ে উঠেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। কুয়াশা ও সরবরাহ কমার অজুহাতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সবজি, মুরগি, আলু, রসুনসহ বেশকিছু পণ্যের দাম।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে গত কয়েকদিন প্রায় সব ধরনের পণ্যের সরবরাহ কম ছিল। সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় অধিকাংশ পণ্যের দাম বেড়েছে।
ভোক্তারা মনে করছেন, একশ্রেণির অতি মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ী যেকোনো উছিলায় ইচ্ছেমতো হুটহাট পণ্যের দাম বাড়ায়। সাধারণ মানুষকে তারা জিম্মি করে ফেলেছে। জনজীবনে স্বস্তি ফেরাতে দ্রুত এ সিন্ডিকেট ভাঙা প্রয়োজন।
সরেজমিন দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের ব্যবধানে বাজারে প্রায় সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। এখন ৬৫ টাকার সরু (মিনিকেট) চালের কেজি ৬৮ থেকে ৭০ টাকা, মাঝারি (বিআর-২৮, পাইজাম) চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা কেজিতে। দুই টাকা বেড়ে মোটা চালের কেজি হয়েছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা।
মালিবাগের কুমিল্লা রাইস এজেন্সির ফরিদ হোসেন বলেন, সরবরাহ ঘাটতির কারণে চালের দাম মানভেদে প্রতি বস্তায় দেড়শো থেকে আড়াইশো টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
এদিকে, বাজারে সব ধরনের সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। কাঁচা পেঁপে ও মুলা ছাড়া ৫০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজি বাজারে নেই। ভরা মৌসুমে শিম প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০ টাকার নিচে মিলছে না। এক পিস লাউয়ের দাম ঠেকেছে ১০০ টাকায়। বছরজুড়ে পাওয়া যায় এমন গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। ঝিঙা, চিচিঙ্গা ও বরবটির কেজিও ৮০ থেকে ১০০ টাকা।
অন্যদিকে, ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ২০ টাকা পর্যন্ত। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২২৫ টাকা। সোনালি মুরগির দামও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকায়। এছাড়া বেঁধে দেওয়া দাম ৬৫০ টাকা হলেও রাজধানীর অধিকাংশ বাজারে গরুর মাংস এখন ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারও কিছুটা বাড়তি। বিভিন্ন পদের মাছের দাম কেজিতে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
এছাড়া বাজারে পেঁয়াজ ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে রসুন ও আদার দাম বেড়েছে। বাজারে এখন প্রতি কেজি আদা এবং রসুন একই দামে ২০০ থেকে ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
Posted ০৭:০১ | শুক্রবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain