| শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৪ | প্রিন্ট
চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার ইছাখালী গ্রামে জন্ম নেয়া নিউ ইয়র্ক প্রবাসী জয়নাল আবেদীন সততার কারণে নিউ ইয়র্কে প্রসংশিত হয়েছেন। এ কথা জানাজানি হলে জয়নালের সততার গুণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয় নিউ ইয়র্কবাসীর কাছে।
গতকাল জয়নাল এ ঘটনা জানিয়ে এ প্রতিনিধিকে একটি মেইল করেন। মেইলে তিনি জানান, গত ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার তিনি সহধর্মিনী আসমা আবেদীনসহ স্বর্ণ কেনার জন্য জ্যাকসন হাইটসের জুয়েলারি দোকানে যান। স্বর্ণ কেনার পর দোকানের কর্মচারীর কাছে অতিরিক্ত একটি খালি বাক্স চান। কর্মচারীদের একজন একটি খালি বক্স দেন জয়নাল দম্পতিকে।
তারা জ্যাকসন হাইটসের আনুসাঙ্গিক বাজার শেষ করে বাসায় ফিরেন স্থানীয় সময় আনুমানিক রাত ৯টায়। জয়নাল আবেদীন নিজের কেনা স্বর্ণ তার শাশুড়িকে দেখাতে গিয়ে দেখেন তাদের কেনা স্বর্ণ যথাযথ আছে, কিন্তু খালি বক্সে প্রায় ১৩ ভরি ওজনের সোনার নেকলেস। খালি বক্সে এতবড় নেকলেস দেখে তিনি অবাক হন।
পরদিন সহধর্মিনীসহ জ্যাকসন হাইটসে সোনা চাঁন্দিতে নেকলেস নিয়ে হাজির হন। তখনও দোকান খোলা হয়নি। তিনি দীর্ঘ দেড় ঘণ্টা অপেক্ষার শেষে দোকান খোলার পর কর্মচারীদের কাছে ঘটনা খুলে বলে নেকলেস ফেরত দেন। এতে তারা আশ্চর্য হয়ে দম্পতিকে ধন্যবাদ জানান এবং তাদের সততার প্রসংসা করেন।
এই সৎ মানুষটি স্বর্ণের দোকানের মালিককে না জানিয়ে একরকম নীরবে নেকলেসটা ফেরত দিয়েছেন কর্মচারীদের কাছে। এর কারণ হিসেবে জয়নাল আবেদীন বলেন, স্বর্ণ কেনার সময় যে দুইজন কর্মচারী ছিলেন তারা বাংলাদেশী। ভুলে তারা আমাকে নেকলেস ভর্তি বক্স খালি মনে করে দিতে পারে। আমি যদি মালিককে ঘটনাটা জানাতাম, হয়ত বাহবাহ পেতাম। এর ফলে মালিক ক্ষিপ্ত হয়ে বাঙালি দুইজন কর্মচারীকে চাকরি থেকে বাদ দিতে পারে, সেই চিন্তা থেকে মালিককে জানাইনি।
জয়নাল আবেদীন বলেন, এই ঘটনাটা আমার এলাকার পরিচিত বেলাল হোসেনকে জানাই। বেলাল গত ১৪ এপ্রিল একই দোকানে স্বর্ণ কিনতে গিয়ে ওইদিনের নেকলেসের ঘটনা মালিককে বলে এতে মালিক আমার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে বেলালের কাছে আমার জন্য ৫০ ডলার পুরস্কার পাঠিয়েছেন। তিনি মালিকের দেয়া পুরস্কার সবিনয়ে প্রত্যাখান করে বলেন, আমি আমার নৈতিক দায়িত্ব পালন করেছি। এর জন্য কোনো পুরস্কারের প্রয়োজন নেই। জয়নাল আবেদীন ২৮ বছর ধরে নিউ ইয়র্ক প্রবাসী। পেশায় এমটিএ কর্মকর্তা। পরিবারসহ বসবাস করেন নিউ ইর্য়ক সিটির ওজনর্পাকে।
Posted ১০:৪০ | শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin