| সোমবার, ০৯ জুলাই ২০১৮ | প্রিন্ট
মাসুদ সরকার, ধামইরহাট (নওগাঁ)- প্রতিনিধি : আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রাম-বাংলার ঐতিহাসিক মাটির বাড়ি ঘর আজ বিলুপ্তির পথে। গরমের দিন মাটির বাড়ি অনেক আরামদায়ক ঘরের মধ্যে প্রবেশ করলে শরীর শিতল হয়ে যায়। এখনও গ্রামঞ্চলে মাটির ঘর দেখা গেলেও নতুন করে যারা বাড়ি নির্মাণ করছেন তাঁরা ইট, বালি আর সিমেন্ট দিয়ে ঘর-বাড়ি নির্মাণ করছেন। পূর্বে দেখা গেছে, দরিদ্র মানুষের পাশাপাশি বিত্তবানরাও মাটির ঘর তৈরী করে বসবাস করতেন। তবে অনেক বড় বড় পুরনো মাটির বাড়ি রয়েছে সেগুলোতে বিত্তবান, মধ্যে বিত্তরা এখনও বসবাস করছেন।
সরে জমিনে ঘুরে দেখা যায়, গ্রামে প্রায় মাটির ঘর এখন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে আর স্থান পাচ্ছে পাকা বাড়ি। প্রাচীন কাল থেকেই উপজেলায় মাটির ঘরের প্রলচন ছিল। লাল চিটা মাটি কাদায় পরিণত করে সেই মাটিতে খড় ছোট ছোট করে কেটে দিয়ে একত্রে মিশিয়ে সেই মাটি দিয়ে ওয়াল দেয়া হয়।
সেই ওয়াল শুকাতে প্রায় ৩০-৩৫ দিন সময় লেগে যায়। শুকানোর পর তার উপর আবার দেড় খেকে দু’ ফিট উচু করে আবার ওয়াল দেয়া হয়। এ ভাবে ৫-৬টি ওয়াল দেয়ার পর ঘরের প্রয়োজনীয় স্থানে বাঁশ দিয়ে জানালা ও দরজা তৈয়ারী করা হয়। এক তলা হয়ে গেলে বাঁশের সিলিং ও মাটি দিয়ে তলার কাজ শেষ করা হয়। দু’তলা করতে একই ভাবে আবার ওয়াল দিয়ে প্রয়োজনীয় স্থানে জানালা ও দরজা রেখে ঘরের কাজ শেষ করে। ঘরের ছাউনি হেিসবে ব্যবহারিত হয় খড় বা ঢ়েউ টিন। ঘর নিমার্ণের পর প্রথমে মোটা করে ও পরে চিকন করে কাঁদা লাগিয়ে ঘরের সুন্দর্য বর্ধন করা হয়। স্থানীয় ভাবে গারা বলা হয়।
গারা শুকানোর পর ওয়ালে পছন্দ মতো রং করলেই সুন্দর বাড়িতে পরিণত হয়। এ কাজে গৃহণীরা তাদেও হাতের স্পর্শে মাটির ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। ইট বালি দিয়ে ঘর নির্মাণ করতে যে পরিমানে অর্থ ব্যায় হয় একটি মাটির ঘর নির্মাণ করতে সেই পরিমানে অর্থ ব্যায় হয়। আধুনিকতার ছোঁয়ায় আজ ইট বালি দিয়ে ঘর নির্মাণে উৎসাহী হচ্ছেন। আর আস্তে আস্তে মাটির ঘর বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
Posted ১৮:১৪ | সোমবার, ০৯ জুলাই ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin