| রবিবার, ০৫ আগস্ট ২০১৮ | প্রিন্ট
গুপ্তচর ক্যামেরার বা লুকোনো ক্যামেরার শিকার হয় সাধারণত নারীরাই, কখনো পুরুষরাও। টয়লেট, পোশাকের দোকানে কাপড় বদলানোর ঘর, জিমনেশিয়াম, সুইমিং পুল- মূলত এসব স্থানেই ‘স্পাই ক্যামেরা’য় ভিডিও ধারণ করা হয়।এরপর সেসব ভিডিও ছেড়ে দেয়া হয় কোনো না কোনো পর্ণগ্রাফির ওয়েবসাইটে।
দক্ষিণ কোরিয়াতে এই বিষয়টি মহামারিতে রুপ নিয়েছে। রাজধানী সিউলে এর বিরুদ্ধে চলছে তীব্র আন্দোলন। শনিবার হাজার হাজার নারী সেখানে জমায়েত হয়েছেন।
প্রতিবাদকারীরা জানান, সিউলে বাড়তে থাকা এধরনের অপরাধ যদি অচিরেই নিয়ন্ত্রণে না আনা যায় তবে তা অন্যান্য দেশেও একইভাবে ছড়িয়ে পরতে পারে। আর এই অপরাধে তারা উপযুক্ত বিচার থেকেও বঞ্চিত হন বলে দাবী তাদের।
এবিসি নিউজ তাদের প্রতিবেদনে জানায়, দেশটির পুলিশের কাছে বছরে প্রায় ৬ হাজার এ ধরনের অপরাধের অভিযোগ আসে, যার শিকার শতকরা ৮০জনই নারী। আর তার চেয়ে আশঙ্কার বিষয় হলো বেশিরভাগ নারীই এ বিষয়ে পরবর্তীতে আর মুখ খোলেন না। আর যারা তদন্তে কাজ করেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা পুরুষদের সমর্থন করে থাকেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তদন্ত প্রতিবেদন প্রভাবিত হয়ে থাকে।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, কোরিয়ার পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সেখানে মেয়েদের খুবই সতর্ক থাকতে হয়। তারা অনেকেই মনে করেন যে তাদের কাছের বন্ধুরাই গোপন ক্যামেরা ব্যবহার করে তাদের দৃশ্য ধারণ করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশের তথ্য অনুযায়ী গত বছর তাদের কাছে সর্বমোট ৫ হাজার ৩৬৩ টি গোপন ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং প্রতিনিয়ত এরকম আরও অনেক অভিযোগ তাদের কাছে আসছে। এবিসি নিউজ।
Posted ১২:১১ | রবিবার, ০৫ আগস্ট ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain