| বৃহস্পতিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট
৬ দফা দাবি মেনে না নিলে স্কুলের কোনও কার্যক্রমে যোগ দেবে না রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে একথা জানিয়েছে ছাত্রী প্রতিনিধি আনুশকা রায় ও অধরা অঞ্জলী।
আনুশকা রায় জানায়, শুরু থেকেই আমরা ৬টি দাবি জানিয়ে আসছি। এর মধ্যে তিনটি দাবি বাস্তবায়ন করতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। বাকি তিন দাবি যেকোনও মুহূর্তে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। বাস্তবায়নযোগ্য দাবিগুলো দ্রুত কার্যকর করতে হবে। আর যেগুলোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি সময়ের প্রয়োজন সেগুলোর বিষয়ে আমাদের লিখিতভাবে অঙ্গীকার দিতে হবে। আমাদের লিখিতভাবে আশ্বাস দিলেই আমরা আন্দোলন থেকে সরে যাব। ক্লাসে ফিরে যাব।
তিনি আরও জানায়, আমাদের ৬টি দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল প্রিন্সিপাল ও গভর্নিং বডির চেয়ারম্যানসহ সব সদস্যকে পদত্যাগ করতে হবে। এই দাবি এখনও কার্যকর করা হয়নি।
অরিত্রীর আত্মহত্যায় অভিযুক্ত শিক্ষিকা হাসনা হেনার গ্রেফতার প্রসঙ্গে এই শিক্ষার্থী জানায়, আমরা অবশ্যই সন্তুষ্ট। তবে প্রিন্সিপাল ছাড়া অন্য শিক্ষকদের বিষয়ে আমাদের কোনও দাবি ছিল না। যা হচ্ছে সেটা আইনের মাধ্যমে হচ্ছে।
সোমবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রি। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অরিত্রির আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে গতকাল তারা বাবা দিলীপ অধিকারী বলেছিলেন, অরিত্রির স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। গতকাল রোববার সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের ডেকে পাঠায়। সোমবার স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, অরিত্রি মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের (টিসি) সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার মেয়ের সামনে আমাকে অনেক অপমান করে। এই অপমান এবং পরীক্ষা আর দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রি।
এ ঘটনার পর মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় রাজধানীর পল্টন থানায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলা দায়ের করেন অরিত্রির বাবা। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ওই তিন শিক্ষককে বরখাস্তোর নির্দেশ দেয়।
বুধবার (৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় রাজধানীর উত্তরার একটি হোটেল থেকে শ্রেণিশিক্ষকা হাসনা হেনা গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
Posted ১৩:৫৯ | বৃহস্পতিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain