| শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
ডা. সহেলী আহমেদ সুইটি :আজকাল ঘরে ঘরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে। আমাদের সবারই জানা এডিস মশা ডেঙ্গুর বাহক। সাধারণত স্বচ্ছ জমে থাকা পানিতেই এদের উৎপত্তি। যেমন ফুলের টব, এসির জমে থাকা বদ্ধ পানি, দীর্ঘদিন অব্যবহৃত টয়লেট ফ্ল্যাশ না করলে সেই পানিতে এডিস মশার জন্ম। তিন ধরনের ডেঙ্গু হতে পারে ১. ডেঙ্গু ক্লাসিক্যাল ২. ডেঙ্গু হেমোরেজিক ও ৩. ডেঙ্গু Shock syndrome. ডেঙ্গু ক্লাসিক্যাল (Classical) হলে জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা হবে যেটি খুব মারাত্মক না। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডেঙ্গু হেমোরেজিক এবং ডেঙ্গু Shock syndrome মারাত্মক হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না হলে এমনকি ডেঙ্গু হেমোরেজিক কিংবা ডেঙ্গু shock syndrome থেকে আকস্মিক কিডনি বিকল হতে পারে। ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বরের সঙ্গে শরীরে লালচে দানা বা র্যাশ হতে পারে এবং শরীরের যে কোনো অঙ্গ থেকে ব্লিডিং হতে পারে।
যেমন দাঁত ব্রাশ করতে গেলে দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং সিবিসি করতে হবে এবং প্লাটিলেট কাউন্ট দেখতে হবে। এ সময় প্রচুর পানি/তরল খাবার বেশি খেতে হবে। প্লাটিলেট কাউন্ট ১০, ০০০ কিংবা তার নিচে নেমে গেলে ব্লাড ট্রানফিউশন লাগতে পারে।
মনে রাখতে হবে ডেঙ্গু হেমোরেজিক কিংবা ডেঙ্গু Shock syndrome থেকে আকস্মিক কিডনি বিকল হতে পারে, তাই অবশ্যই প্রচুর পানি ও ডাব কিংবা ফলের রস খাবেন। তবে কিডনি রোগীরা কিংবা উচ্চরক্তচাপ এবং হৃদরোগীরা ডাব কিংবা স্যালাইন খাবেন না। অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। ডেঙ্গু যাতে মহামারী না হয় সে জন্য সবাইকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে সচেতন হতে হবে এবং নিজের বাসস্থান, কর্মস্থল পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, যাতে এডিশ মশা নিধন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা যায়। তাই ডেঙ্গু নিয়ে আমাদের আরও সচেতন ও যত্নবান হতে হবে। মনে রাখতে হবে, এসব ক্ষেত্রে প্রতিকার নয় প্রতিরোধ সর্বদা উত্তম।
লেখক : কিডনি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ল্যাবএইড, গুলশান ও উত্তরা, ঢাকা। ফোন: ০১৫৫৬৩২৭৭৭৩
সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন
Posted ০৪:৫১ | শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain