| শনিবার, ১৫ মার্চ ২০১৪ | প্রিন্ট
স্পোর্টস রিপোর্টার : লড়াইয়ের মঞ্চ প্রস্তুত। প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোও। বাছাই পর্বের মধ্যে আজ পর্দা উঠছে সংক্ষিপ্ত ভার্সনের এ বিশ্ব ক্রিকেট আসরের। স্বাগতিক বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যকার লড়াই দিয়ে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। দুপুর সাড়ে তিনটায় মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি। একই দিন বিকাল সাড়ে পাঁচটায় হংকংয়ের মুখোমুখি হবে নেপাল।
এবারের আসরের মূল মঞ্চে খেলার সরাসরি টিকিট পেয়েছে আট দল। সৌভাগ্যবান এ দলগুলো হচ্ছে : ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এ আট দলের সঙ্গে মূল মঞ্চে খেলতে হলে স্বাগতিক বাংলাদেশসহ আফগানিস্তান, নেপাল, হংকং, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বাছাই পর্ব খেলে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
এ আটটি দলকে এবার দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। দুই গ্রুপের সেরা দুই দল মূল পর্বে লড়াইয়ের সুযোগ পাবে। বাংলাদেশ বিশ্বকাপের উত্তাপ শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নতুনরূপে সেজেছে আসরের তিন ভেন্যু নগর ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম। বর্ণিল আলোকসজ্জা, রাজপথে রঙতুলির আঁচড় এবং ক্রিকেটপ্রেমী রোমাঞ্চ নতুন কিছুরই জয়গান গেয়ে যেতে চাইছে। জয় হোক বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের, জয় হোক ক্রিকেটের। অথচ এ বিশ্বকাপের আগে কি কঠিন সময়ই না পার করতে হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে। একের পর হার, চোটাঘাত এবং দলের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব সবমিলিয়ে টালমাটালই ছিল টাইগাররা। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে জয় পাওয়ায় এখন দারুণ ফুরফুরে মেজাজে আছে মুশফিক বাহিনী। এ দুটি জয় বাছাই পর্বে ‘টনিক’ হিসেবে কাজ করবে টাইগারদের কাছে। হারতে হারতে ক্লান্ত হয়ে পড়া স্বাগতিকরা যেন জিততেই ভুলে গিয়েছিল। উইকেট পতন শুরু হলে সেটা ধরে রেখে কীভাবে ম্যাচে ফিরতে হয় সেটাও যেন জানা ছিল না তাদের। মনে হচ্ছিল সবকিছুই শুরু করতে হবে নতুন করে। অবশেষে গত বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে পাওয়া ওই জয়টি নতুন করে মুশফিকদের পথ চলতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। সেই প্রেরণাকে পুঁজি করে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচেও গতকাল জয়ের নিশ্ছিদ্র পথে হেঁটেছে বাংলাদেশ। আইরিশদের হারাতে তেমন বেগ পেতে হয়নি মুশফিক-সাকিবদের। বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে হলে বাছাই পর্বের পথটা এভাবেই পাড়ি দিতে পারবে টাইগাররা এমন প্রত্যাশা সবার।
টি-টোয়েন্টি নিয়ে র্যাব-সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা মহড়া
বাংলাদেশ বনাম ভারতের ম্যাচ চলছে। ব্যাট হাতে ভারতীয় ব্যাটসম্যান আর বল হাতে মাশরাফি মর্তুজা। হঠাত্ করেই বোমা বিস্ফোরণ। চারদিকে হুড়োহুড়ি আর আহাজারি। খেলোয়াড়দের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে মাঠ ঘিরে ফেলেন র্যাব সদস্যরা। তাদের হোটেলে পৌঁছে দিতে হেলিকপ্টার নিয়ে মাঠে আসে বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স-র্যাব। ঘটনাটি বাস্তব নয়, মহড়া কেবল। আসন্ন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ২০১৪-এর নিরাপত্তা দিতে মহড়া করেছে র্যাব ও সেনাবাহিনীর যৌথ টিম। গতকাল দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে ন্যাশনাল আর্মি স্টেডিয়ামে চলে এই মহড়া। এতে আসন্ন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলায় কোনো ধরনের নাশকতা ও অপ্রীতিকর ঘটনার তাত্ক্ষণিক মোকাবিলায় র্যাবের হেলিকপ্টার, ডগ স্কোয়াড, বোম ডিস্পোজাল ইউনিট, র্যাবের বিশেষ স্ট্রাইকিং ফোর্সের মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। র্যাবের পক্ষে র্যাব হেডকোয়ার্টার্সের সদস্যরা এ মহড়ায় অংশ নেন।
অন্যদিকে, সেনাবাহিনীর পক্ষে ৪৬ বিগ্রেডিয়ার ব্যাটালিয়ন কমান্ডাররা জঙ্গি হামলায় করণীয় দিকগুলো তুলে ধরেন। মহড়ায় উপস্থিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, বিশ্বকাপের সব ম্যাচ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। তবে নিরাপত্তার দায়িত্বে সাধারণ জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে।
র্যাবের মহাপরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, খেলোয়াড়দের নিরাপত্তায় বিমানবন্দর থেকে হোটেল পর্যন্ত নিয়মিত বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকেও র্যাব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। মহড়ায় আরও উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ৪৬ ব্রিগেড ব্যাটালিয়নের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মজিবর রহমান।
Posted ১১:৩৮ | শনিবার, ১৫ মার্চ ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin