জিয়ার হত্যাকারীরাই তারেককে রাজনীতি থেকে দুরে রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারেক রহমানের প্রয়োজন। তিনি তৃণমূল থেকে রাজনীতি করেছেন। তাকে অন্যায়ভাবে নির্বাসিত করা হয়েছে। দেশে থাকা তার মৌলিক অধিকারকে হরন করা হয়েছে। তারেক আগামী দিনের নেতা। এজন্যই জিয়াউর রহমানকে যারা হত্যা করেছে তারাই তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চায়।”
সোমবার বিকেলে রাজধানীর সুন্দরবন হোটেলে ‘জিয়া স্মৃতি পাঠাগার’ আয়োজিত ‘বাংলাদেশ সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তারেক রহমানের ভূমিকার প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক এ সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেন, তারেক রহমান শুধু জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান নন, তিনি তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে উঠে এসেছেন। কাউন্সিলররাই তাকে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন।
মির্জা আলমগীর বলেন, আজকাল রাজনীতিতে লেখাপড়া উঠে গেছে। জ্ঞান অর্জনের বন্ধ্যাত্ব কাটিয়ে উঠতে হবে। গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে। এখন গণতন্ত্রকে হরণ করা হচ্ছে, সংগঠন করার অধিকারও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, সরকার যতই বিলবোর্ডে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরুক না কেন, জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “প্রকাশ্যে গুলি করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, ক্রসফায়ারে হত্যা করা হচ্ছে, খুন, গুমও দেশের সহজ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরও সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন এখন নাকি গণতন্ত্রের উৎকৃষ্ট সময় চলছে।”
তিনি বলেন, সত্য প্রকাশের দায়ে পত্রিকা বন্ধ হলে, জনগণের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিলে কখনো গণতন্ত্র বিকশিত হতে পারে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, “গণতান্ত্রিক দেশে বিরোধীদল যদি কথা বলতে না পারে, পত্রিকায় সরকারের বিরুদ্ধে খবর প্রকাশের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়, মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়, সে দেশে গণতন্ত্র বিকশিত হয় না।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই সকল ধরনের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। তারা জাতীয় সংসদে ১১ মিনিটের মধ্যে সব দলের রাজনীতি বন্ধ করে বাকশাল কায়েম করেছিল। ১৯৭৪ সালে যখন তারা ক্ষমতায় ছিলো, তখন তাদের দুঃসাশনের জন্য দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। এসব আমরা ভুলে যাইনি। আওয়ামী লীগ বার বার দাবি করলেও তারা কখনোই গণতন্ত্রের চর্চা করেনি বরং তারা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।”
ফখরুল আরো বলেন, “নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে হেরে যাবে এই ভয়েই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চায়।”
যুবদল সভাপতি ও আয়োজক সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির সহ সভাপতি সাদেক হোসেন খোকা, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, বিএনপির কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সিনহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।