| মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৩ | প্রিন্ট
ঢাকা: সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমেদ বলেছেন, “জয়ের কাছে তথ্য নয়, রয়েছে নির্বাচনের নীলনকশা। যেখানে পাঁচটি সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হয়েছে, সেখানে তার বক্তব্য অত্যন্ত ষড়যন্ত্রমূলক।”
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি আয়োজিত ‘দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট ও উত্তরণের উপায়’শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে আরো অংশ নেন সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মাহবুবুল্লাহ, ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন।
কাজী জাফর বলেন, “বাংলাদেশে সংকটের দানবীয় চেহারা দেখা যাচ্ছে। একদিকে দুর্নীতির মহোৎসব, ফ্যাসিবাদের উলঙ্গ চেহারা; অন্যদিকে দেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষের দাবি সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী যখন বলেন, আগামী দশ বছরেও নির্বাচন হবে না তখন মনে হয় তার এ বক্তব্য শুধু নির্বুদ্ধিতা নয়, এর মধ্যে গভীর চক্রান্ত আছে।”
তিনি বলেন, “নির্বাচন হবে কি হবে না তা নিয়ে অনিশ্চয়তার পাল্লা ভারি হচ্ছে। দেশে সংঘাতের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে জটিল ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে তা কিন্তু বাংলাদেশ ও ভারতের বিশাল ভূখণ্ডজুড়ে বিস্তৃত হতে পারে।”
জাতীয় পার্টির এ নেতা বলেন, “নির্বাচনের সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে দেয়ালের লিখন স্পষ্ট হলে মানুষ হারু পার্টিতে যায় না তখন কে কার আগে আন্দোলনে নামতে পারে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে হয়।”
সে পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের মধ্য থেকেও নতুন মেরুকরণের আশঙ্কা করে কাজী জাফর আহমেদ বলেন, “শাসক দলের মধ্যে থেকে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে যা আমাদের কল্পনার বাইরে। ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের বিকাশ ঘটতে পারে। ইতিহাস বলে, শাসকশ্রেণীর মধ্য থেকে বিদ্রোহী অংশের সৃষ্টি হয়। তাই, সংকটকালে আওয়ামী লীগের মধ্যে থেকে নতুন মেরুকরণের সৃষ্টি হতে পারে।”
তিনি রাজনীতিবিদদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির উত্থান এখনো ঘটেনি, তাই প্রশ্ন অন্য কোনো শক্তিতো আসবে না।”
Posted ১৪:৩৯ | মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin