নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আন্দোলন করতে হলে জনগণের সম্পৃক্ততা লাগে। যারা জনবিচ্ছিন্ন তাদের দিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম হয় না। দেশ যখন উন্নয়নে এগিয়ে চলছে তখন তারা অস্থিরতা সৃষ্টি করছেন।
আজ (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে নাটোর অনিমা চৌধুরী মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ২৩ বছর দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তার রাজনীতি জীবনে পুরো জীবনটাই কারাগারে কাটিয়েছেন। কী করে সংগ্রাম করতে হয়, কী করে ত্যাগ করতে হয়, তা বঙ্গবন্ধু শিখিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু ৬ দফা দিয়েছেন। দেশের মানুষকে শোষণের হাত থেকে রক্ষায় সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ উপহার দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১ সালের ভাষণ যা বিশ্বের অন্যতম ভাষণ। তাঁর ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। দেশ স্বাধীন করেছেন।
বিএনপির উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১০ ডিসেম্বর থেকে নাকি দেশ একজন দণ্ডিত আসামির কথা চলবে। এ বলে বিএনপি দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে দীপু মনি বলেন, জিয়াউর রহমান সকল আইন-সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় এসেছিলেন। ক্ষমতায় টিকে থাকতে রাতে কারফিউ জারি করেছিলেন। মানুষের অধিকার নষ্ট করেছিলেন। জিয়া অবৈধ ক্ষমতা বৈধ করে ক্ষমতায় ছিলেন। তারা এখন গণতন্ত্রের কথা বলেন। কারাগারে জাতীয় নেতাদের হত্যা করেছিলেন। ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক দলের লোভীদের নিয়ে অবৈধ সরকার গঠন করেন। এখন আমরা তাদের কাছে গণতন্ত্রের কথা শুনি। যারা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান নিষিদ্ধ করেছিলেন। যেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের দেখেছেন সেখানে তাদের হত্যা করেছেন। ক্ষমতায় থাকাকালে অসংখ্য সেনা সদস্যকে হত্যা করেছিল।
দীপু মনি বলেন, জনগণের সম্পৃক্ততা নিয়ে আওয়ামী লীগ বার বার আন্দোলন-সংগ্রাম করে জনগণের অধিকার এনে দিয়েছে, স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, গণতন্ত্র এনে দিয়েছে এবং দেশের উন্নয়ন দিয়েছে। যাদের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই। যারা এদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ধ্বংস করার জন্য বারবার হরতাল ডেকেছে। পার্বত্যঞ্চলের শান্তি চুক্তি বানচাল করেছে। তারা শান্তির বিপক্ষের শক্র। বাংলাদেশে রাজনীতি থাকবে, রাজনীতিতে পক্ষ বিপক্ষ থাকবে। স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশে সরকার থাকবে, বিরোধী দল থাকবে কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী কেউ থাকবে না। স্বাধীনতা বিরোধীতারা এদেশে রাজনীতি করার সুযোগ পাবে না।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতি জেলায় জেলা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নতুন বছরেই হাতে বই পাচ্ছে। গরিব শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পাচ্ছে। সবই শেখ হাসিনার জন্য। জনগণের জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছেন তিনি। তরুণ প্রজন্মের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। আমরা সৌভাগ্যবান যে আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন। তার দূরদর্শিতায় উন্নয়নে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- নাটোর-২ (নাটোর সদর-নলডাঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল কুদ্দুস, মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, নাটোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাজেদুর রহমান খান।
আরও বক্তব্য দেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার।
Posted ০৮:৫২ | মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain