| বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে এক দিকে দ্রুত দল গোছানোর কাজ শেষ করছে বিএনপি, অন্য দিকে দলটি নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবি আদায়ে খুব শিগগীরই দেশ সফর করবেন। দেশের বিভাগীয় ও জেলা শহরসহ বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করবেন। আগামী মার্চ থেকেই শুরু হবে বেগম খালেদা জিয়ার দেশ সফর। বিএনপির একাধিক সূত্র এ তথ্য জানায়। বিএনপির শীর্ষ নেতাদেরকে দেশ সফরসহ জনসভা কোথায় কিভাবে করা যায় সে ব্যাপারে পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া।
জানা গেছে, নির্বাচন ও আন্দোলন কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রস্তুতি যুগপৎভাবে এগিয়ে নিচ্ছে বিএনপি। ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে খালেদা জিয়ার জনসভা করার বিষয়ে দলে আলোচনা চলছে।
নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপির প্রত্যাশার প্রতিফলন না হওয়ায় এবার নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এ বিষয় বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীদের তৈরী ফর্মুলার একটি প্রস্তাবনাও প্রস্তুত করেছেন বলে জানা গেছে। খুব শীগগীরই বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া জনসম্মুখে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করবেন।
এছাড়াও ওই প্রস্তাবনার পক্ষে সারাদেশে জনমত গঠনে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালু করবে দলটি। এর অংশ হিসেবে সারাদেশে সফর করবেন বেগম খালেদা জিয়া।
অপরদিকে নবগঠিত নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয় এবং তাদের দ্বারা সুষ্ঠু নির্বাচনও সম্ভব নয় তাও প্রচারনায় থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির হাইকমানন্ডের একটি সূত্র।
এদিকে যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল দেশ বলেছেন , সহায়ক সরকারের দাবী তো বিএনপি সব সময়ই জানিয়ে এসেছে। এখন দেখার বিষয় সহায়ক সরকারের চরিত্রটা কেমন হয়। সরকার যে সহায়ক সরকার দিবে তার রুপরেখঅ সরকারকে দ্রুত প্রকাশ করতে হবে। তা না হলে দলীয় নির্বাচন কশিমনের অধীনে যে নিরপেক্ষ নির্বাচন কতটা হবে সেটা আরো স্পষ্ট হয়ে যাবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব সহায়ক সরকারের রুপরেখা আমরা জানতে চাই।
সহায়ক সরকার যদি নিরপেক্ষ না হয় তাহলে তো আমাদের মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অধীনেও নির্বাচন সুষ্ঠু হবেনা।
বিএনপি নেতারা আশঙ্কা করছেন, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতে নানামুখী উদ্যোগ নিতে পারে সরকার। নির্বাচনে অযোগ্য করতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা অন্তত দুইটি মামলার রায় (জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট) দেয়া হতে পারে। একইসাথে ঝুলে থাকা মামলার রায় দিয়ে শীর্ষনেতাদেরও নির্বাচনে অযোগ্য করা হতে পারে। এ ছাড়া বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করতে নানা ফাঁদও পাতা হতে পারে- যাতে করে নির্বাচনের আগে বিএনপি সঠিক রাজনৈতিক কৌশল নেয়ার সুযোগ না পায়।
তবে আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামের কথা মাথায় রেখে ত্যাগীদের প্রাধান্য দিয়ে ও বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে কমিটি গঠনের দাবি মহানগরের নেতাকর্মীদের। শাহবাগ থানা বিএনপির নেতা এম এ হান্নান বলেন, অতীতে যারা বিতর্কিত ভূমিকা রেখেছে, দলের বিপক্ষে কাজ করেছে, নতুন কমিটিতে তাদের কোনোভাবেই জায়গা দেয়া উচিত হবে না। ত্যাগী ও মাঠের নেতাদের দায়িত্ব দেয়া হলে আন্দোলনে তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
Posted ১০:০৭ | বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain