নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট
ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হেনেছে এশিয়ায় চলতি বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় সুপার টাইফুন ‘ইয়াগি’। দেশটির আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, শনিবার চীনের হাইনান দ্বীপ ও ফিলিপাইনের মধ্য দিয়ে বয়ে চলার পর এটি ভিয়েতনামের স্থলভাগে আছড়ে পড়ে। এতে ভূমিধসে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। এ নিয়ে তিন দেশে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২২ জনে। খবর রয়টার্স ও বিসিসির।
ভিয়েতনামে ইয়াগির গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার ছিল। উত্তরের উপকূলীয় শিল্পাঞ্চল শহর হাইফংয়ে স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরে এটি আঘাত হানে। এতে আহত হয়েছে আরও ৭৮ জন। সমুদ্রে থাকা অনেকে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, শনিবার উত্তর কোয়াং নিন প্রদেশে তিনজন মারা গেছে। এছাড়া হ্যানয়ের কাছে হাই ডুওংয়ে আরেকজনের মৃত্যু হয়। এই অঞ্চলে প্রায় ৭৮ জন আহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইন্দো-প্যাসিফিক ট্রপিক্যাল ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, শনিবার সকালে ঝড়টি হাইফং ও কোয়াং নিন প্রদেশে ঘণ্টায় ২০৩ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে। প্রবল বাতাসে ভবন ও যানবাহনের ক্ষতি হয়েছে। রাজধানী হ্যানয়ে বিদ্যুত সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। গাছপালা উপড়ে পড়েছে।
এর আগে, শুক্রবার ফিলিপাইন ও চীনের হাইনান দ্বীপে আঘাত হানে এ ঝড়। ইয়াগি চীনের হাইনান দ্বীপে ২৩৪ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়ে। শক্তি কিছুটা ক্ষয় হয়ে এরপর আঘাত হানে ফিলিপাইনে। সর্বশেষ ভিয়েতনামে আঘাত হানলো। চীনের হাইনানে ইয়াগির আঘাতে দু’জন এবং ফিলিপাইনে ১৬ জন নিহত হয়।
হাইফংয়ে ২০ লাখের মতো মানুষ বসবাস করে। ঝড়ের কবল থেকে রক্ষায় সেখান থেকে ৫০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া হ্যানয়ে বিমানবন্দরে ৩০০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। রাজধানী হ্যানয়সহ দেশটির উত্তরাঞ্চলের ১২টি প্রদেশের স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
Posted ০৭:০৪ | রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain