নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
ক্রমাগত হ্রাস পাওয়া জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে চীন। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং জন্মহার বাড়ানোয় গুরুত্ব দিয়েছেন। জনসংখ্যার নিম্নহারকে ধীর অথবা স্থগিত করতে সরকার কর বিরতি ও মাতৃস্বাস্থ্যসেবা উন্নত করার প্রস্তাব দিয়েছে।
এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিচুয়ান প্রদেশের দম্পতিদের ইচ্ছামতো সন্তান নেওয়ার অনুমতি দিতে যাচ্ছে চীন।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, শুধু দম্পতিই নয়, সিচুয়ান প্রদেশের নীতিমালার পরিবর্তন অনুসারে অবিবাহিত সঙ্গীরাও এখন বেশি সন্তান নিতে পারবে। এর আগে একা নারীর সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
৬০ বছরের মধ্যে গত বছর চীনের জনসংখ্যা সর্বনিম্ন ছিল। কয়েক দশক ধরে চীনে এক সন্তান নীতি ছিল। ২০২১ সালে দম্পতিদের জন্য জাতীয়ভাবে তিন সন্তান নীতি চালু করা হয়।
এর আগে ১৯৭৯ সালে এক সন্তান নীতি চালু করে চীন। ২০১৬ সালে বিতর্কিত এই নীতি বাতিল করে বেইজিং। তবে ২০১৬ সালে এক সন্তান নীতিতে বদল আনলেও চীনে জন্মহার হ্রাস বন্ধ হয়নি। গত বছর প্রথমবারের মতো চীনে মৃত্যুহার জন্মহারকে ছাড়িয়ে যায়। এখন সিচুয়ান প্রদেশে চীনা পরিবারে সন্তান নিতে কোনো সীমা থাকবে না। চীনের দক্ষিণ–পশ্চিমের এই প্রদেশের জনসংখ্যা আট কোটি।
চীনে এখনও করোনাজনিত মৃত্যু হচ্ছে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে জিরো-করোনা বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার পর দেশটির বিভিন্ন শহরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে।
জাপানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোও জন্মহার কমে যাওয়ার মতো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এসব কারণে তার দেশ সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে পারছে না।
Posted ০৬:৩৯ | মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain