নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে মৌলিক গবেষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকার স্বাস্থ্যসেবা খাতের উন্নতির জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানের ওপর গবেষণায় অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। এই সরকারের আমলে কৃষি খাতে গবেষণা, দুধ, মাংস, মাছ ও খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
শনিবার সকালে গণভবনে ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশনের (ডব্লিউএইচএফ) নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডা. জগৎ নরুলার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় স্বাস্থ্য খাতে মৌলিক চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা এবং দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে ডব্লিউএইচএফ-এর সহযোগিতা কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ কৃষি খাতে বাংলাদেশের সাফল্যের পেছনে প্রধানত গবেষণার অবদান রয়েছে। সরকারের প্রধান লক্ষ্য স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি সারাদেশে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপন শুরু করেন। কিন্তু কাজ শেষ করতে পারেননি। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে এই পরিকল্পনা তৈরি করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন শুরু করেছি। এখন সারাদেশে ১৮ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছে।
সরকার প্রধান বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে মানুষ বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ পাচ্ছে। অসচ্ছল ও দরিদ্র ডায়াবেটিক রোগীরাও বিনামূল্যে ইনসুলিন পাচ্ছে। সরকার চিকিৎসা বিজ্ঞানে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য এরই মধ্যে বিভাগীয় সদরে পাঁচটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। হৃদযন্ত্র, কিডনি এবং ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসায় সরকারি উদ্যোগে সরকারি ও বেসরকারি খাতে অনেক বিশেষায়িত হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি অঞ্চলে বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের লক্ষ্য রয়েছে। বাংলাদেশ ওষুধ খাতে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। জীবন রক্ষাকারী সব ওষুধ বর্তমানে দেশেই উৎপাদন হচ্ছে এবং বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে।
সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের প্রশংসা এবং এই অগ্রগতিকে ‘আকর্ষণীয় অগ্রগতি’ হিসেবে বর্ণনা করেন ডব্লিউএইচএফ-এর নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জগৎ নরুলা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মীর জামাল উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, বাংলাদেশ সোসাইটি ফর কার্ডিওভাসকুলার ইন্টারভেনশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে এম ফজলুর রহমান, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও জাতীয় অধ্যাপক ডা. আবদুল মালিক প্রমুখ।
Posted ১৫:৩৮ | শনিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain