নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে আজ প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও যা ছিল ৭৫০ টাকা। আসন্ন ঈদুল ফিতরের কারণে দাম বেড়েছে বলে দাবি মাংস ব্যবসায়ীদের। স্বস্তি ফেরেনি সবজির বাজারেও। সবকিছুর বাড়তি দামে বাধ্য হয়েই কম কিনছেন সীমিত আয়ের মানুষেরা।
আজ (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর মালিবাগ, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা ও ইন্দিরা রোডের বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
মাংস বিক্রেতারা বলছেন, আসন্ন ঈদুল ফিতরের কারণে গরুর দাম বেড়েছে। বেশি দামে গরু কিনতে হচ্ছে বলে বাধ্য হয়ে তারা মাংসের দাম বাড়িয়েছেন।
তবে বিভিন্ন বাজারে দর কষাকষি করে নিলে কেজিতে ১০/২০ টাকা কমে কেনা যাচ্ছে গরুর মাংস। এসব বাজারে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ২৫০ টাকা প্রতি কেজি। তবে বকরির মাংস পাওয়া যাচ্ছে এক হাজার ৫০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকায়।
মাংসের বাজারের উত্তাপ ছড়িয়েছে সবজিতেও। রমজান শেষ হয়ে আসলেও অস্বস্তি কমেনি সবজির দামে। সবজি কিনতে গেলে মিলছে না ক্রেতা-বিক্রেতা কারও হিসাব। ফলে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন খালি হাতে, কেউবা অল্প সবজি কিনে ফিরছেন।
রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা হালিম মিয়া বলেন, স্বাভাবিক সময়ে সবজির এতো দাম কখনো দেখিনি। রমজান হিসেবে দাম কম হওয়ার কথা। কারণ রমজানের শেষের অংশে সবজির চাহিদা কমে যায়। তারপরও এতো দাম কেন বুঝতে পারছি না।
তিনি বলেন, আলু আর পেঁপে ছাড়া কোনো সবজি ৬০ টাকার নিচে নেই। বেশিরভাগ সবজির কেজি এখন ৮০ টাকার ওপরে।
রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়। ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। এছাড়া বরবটি, ভেন্ডি, কচুর লতি, উচ্ছে, সজনে ডাঁটা, ঝিঙ্গা ও চিচিঙ্গা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে পটল, বেগুন ও একপিস ফুলকপি কোথাও ৬০ টাকা আবার কোথাও কোথাও ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি দেশি শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। এছাড়া প্রতি কেজি দেশি টমেটো ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১২০, আলু ২৫ থেকে ৩০, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ এবং প্রতিটি লাউ ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মাছের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় সেখানেও আসেনি স্বস্তি। আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ। পাশাপাশি প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকার মধ্যে । সূএ: জাগোনিউজ২৪.কম
Posted ১০:২০ | শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain