নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। আজ (১৫ জানুয়ারি) সকালে মোনাজাত শেষে ইজতেমা ময়দান থেকে দলে দলে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
আখেরি মোনাজাত শেষে পিকআপ ভ্যান, বাস, ট্রাকসহ নানাভাবে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে আসেন তারা। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও যানবাহন না পাওয়ায় অনেকে আবার পায়ে হেঁটেও গাবতলী পর্যন্ত আসেন। রোববার সরেজমিন রাজধানীর গাবতলী, শ্যামলী, কাজী পাড়া ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ভোলা থেকে গত বুধবার বিশ্ব ইজতেমায় আসেন ব্যবসায়ী মো. তোফায়েল মিয়া। রোববার আখেরি মোনাজাতের পর টঙ্গী ময়দান থেকে ৬ কিলোমিটার হেঁটে পিকআপ ভ্যানে গাবতলী এসে পৌঁছান তিনি।
তোফায়েল বলেন, মোনাজাতের পরে ৬ কিলোমিটারের বেশি পথ হেঁটে আসি। এরপর গাবতলী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ৭০ টাকায় একটি পিকআপভ্যান করে পৌঁছাই। গাবতলী বাসস্ট্যান্ড গিয়ে গ্রামের বাড়ির দিকে রওনা হবেন বলে জানান তিনি।
ট্রাক চালক সাইফুল জানান, ইজতেমা থেকে মোহাম্মদপুর জনপ্রতি ১০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। কেউ কেউ এর চাইতে কম বাড়াও দিচ্ছেন বলে জানান।
গত বৃহস্পতিবার ইজতেমায় যোগ দেন মনির হোসেন। আখেরি মোনাজাতের পর হেঁটে গাবতলী পর্যন্ত আসেন তিনি। কোনো পরিবহন না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা ছয় জন মিলে হেঁটে গাবতলীতে পৌঁছান।
মনির হোসেন বলেন, ৩০ মিনিট অপেক্ষা করেও বাস বা পিকআপ ভ্যানে উঠতে পারিনি। হেঁটে গাবতলী পর্যন্ত আসি। ঢাকায় এক আত্মীয়র বাড়ি আছে, সেখানে আজ থেকে আগামীকাল বাড়ি রওনা দেবো।
সরেজমিন মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপের আখেরি মোনাজাত শেষে দলে দলে ফিরছেন অনেক মুসল্লি। মালবাহী ট্রাক, পিকআপ, বাস, টেম্পু, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, রিকশাসহ নানাভাবে ফিরতে দেখা গেছে অনেককে। তবে অধিকাংশ মুসল্লিরা দলবদ্ধ হয়ে পিকআপভ্যান ভাড়া করে বাড়ি ফিরছেন। এসময় তাদের চোখে-মুখে এক ধরনের আত্মতৃপ্তির আনন্দ লক্ষ্য করা গেছে। কেউ কেউ যানবাহন না পেয়ে নানাভাবে খণ্ড খণ্ড করে গাবতলীতে পৌঁছান।
আজ (১৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় আখেরি মোনাজাত। আর এর মধ্যে দিয়ে শেষ হলো তাবলিগ জামায়াত আয়োজিত ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসের পূর্বপাশে বিশেষভাবে স্থাপিত মোনাজাত মঞ্চ থেকে এ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
Posted ০৮:২৫ | রবিবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain