| শনিবার, ২১ জুলাই ২০১৮ | প্রিন্ট
ডেস্ক রিপোর্ট: সব কুসংস্কারকে উপেক্ষা করে মিসরের আলেকজান্দ্রিয়াতে প্রায় দুই হাজার বছর পুরাতন একটি প্রস্তরনির্মিত কফিন খোলা হয়েছে। গুজব ছিল সেখানে রয়েছে মহাবীর আলেক্সান্ডারের দেহাবশেষ। এমন কি কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, কফিনটির ‘অবমাননা’ হলে ফারাওয়ের অভিশাপ কার্যকর হবে! কিন্তু কফিনটি খোলার পর অবসান হলো সব শঙ্কা, কুসংস্কার ও গুজবের। দেখা গেলো, সেখানে রয়েছে তিনটি গলিত মৃতদেহ। সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, একটি ভবন নির্মাণের স্থানে প্রস্তরনির্মিত কফিনটি পাওয়া গিয়েছিল।
তিন সপ্তাহ আগে মিসরের প্রত্নতত্ত্ববিদরা আলেক্সান্দ্রিয়ায় ওই বিশালাকার কফিনটির খোঁজ পেয়েছিলেন। ২ হাজার বছর পুরাতান কফিনটি খুলে দেখার জন্য গঠন করা হয়েছিল বিশেষ কমিটি। কফিনের ঢাকনা ২ ইঞ্চি সরাতেই যে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে তাতে বিশেষজ্ঞরা সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে মিসর সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারদের সহায়তায় কফিনের ঢাকনা সরানো হয়। ঢাকনা খুলে দেখা যায়, সেখানে রয়েছে তিনজন মানুষের দেহাবশেষ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল ওই দেহাবশেষ একটি পরিবারের সদস্যদের। কিন্তু পরে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দেহাবশেষ তিনটি তিন জন সৈনিকের হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল, যারা ফারাওয়ের সময় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিল। এদের মধ্যে একজনের মাথায় তীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
যে প্রবল দুর্গন্ধের কারণে প্রাথমিকভভাবে কফিনের ঢাকনা খোলার প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়েছিল তার কারণ হাজার হাজার বছর ধরে সেখানে থাকা দেহগুলোর গলিত অবশিষ্টাংশ। প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মোস্তফা ওয়াজিরি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মন্তব্য করেছেন, ‘আমরা কফিনটি খুলেছি এবং দেখুন পৃথিবীতে অন্ধকার নেমে আসেনি! আমিই প্রথম কফিনের ভেতর মাথা ঢুকিয়েছিলাম। দেখুন, আমার কিছুই হয়নি!’
ফারাওয়ের অভিশাপ কার্যকর হওয়ার আশঙ্কাকে নস্যাৎ করে দিয়ে কফিনটি খোলা হলেও সেটি যে স্থান থেকে তুলে আনা হয়েছে সে স্থানে এখন কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দুই হাজার বছর পুরাতন কফিন রাখার ওই স্থানটি থেকে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হতে পারে, যা আক্রান্ত করতে পারে সাধারণ মানুষকে। বাংলা ট্রিবিউন।
Posted ১২:৪১ | শনিবার, ২১ জুলাই ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain