| শুক্রবার, ০৪ এপ্রিল ২০১৪ | প্রিন্ট
১. সেলফি
সাইবার দুনিয়ার চৌকাঠে পা রাখলেই আপনাকে বরণ করে নেবে সেলফি হাওয়া। ঘুম ভাঙা অগোছালো মুখের মায়ার আলস্য। ব্রাশ করছেন। কীভাবে পেস্ট গড়িয়ে পড়ল দেখাবেন না বন্ধুদের? দু্গ্গা ঠাকুর ব্যাকগ্রাউন্ডে, সামনে আপনি। সফট ফোকাসে আইসক্রিমে আপনার গজ দাঁতের কামড়। চৈত্র সেলে নতুন কেনা কামিজে আপনি… কী নেই সেই লিস্টিতে। যখন যেমন ইচ্ছে নিজের ছবি তুলে দিয়ে দিন ফেসবুক হাটে। আপনার ফ্রেন্ডলিস্ট ঈর্ষণীয় হলে লাইক আর কমেন্টের বন্যায় সুনামি হতে কতক্ষণ! দিল খুশ!
২. সেলিব্রেশন
শ্বশুরের রিটায়ারমেন্ট পার্টি। মায়ের জন্মদিনে বয়সের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ৫৫ রকম গিফট। ছেলের প্রথম স্কুলে যাওয়া। পাঁচ বছরের অ্যানির্ভাসারিতে সেকেন্ড হনিমুন। গাড়িতে জমাটি স্টিরিও সিস্টেমের আমদানি। মরসুমের প্রথম কালবৈশাখী। উপলক্ষ যাই হোক সেলিব্রেশন মাস্ট। আর তা শেয়ার করুন সকলের সঙ্গে। চেনা ব্যস্ততার রুটিনে কমপালসারি হয়ে যাবে এক ঝলক ঠান্ডা হাওয়া।
৩. পছন্দের বই, সিনেমা, গান, নাটক
গুড মর্নিং থেকে গুড নাইটের ব্যস্ত শিডিউলে কানে থাক ‘কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা’, অথবা পছন্দের ‘লুঙ্গি ডান্স’। পথচলতি জনতার ভিড়ে হারিয়ে যান কাকাবাবুর সঙ্গে পাহাড় চূড়ায় ছেলেবেলার নিয়মে। দুই মলাটের ঘেরাটোপে ফেলুদার মগজাস্ত্রে শান দেয়ার সাক্ষী থাকুন। অথবা পছন্দ অনুযায়ী হালফিলের ফ্যাশন ফান্ডাতেও নজর রাখতে পারেন। অফিস শেষে ‘ক্যুইন’-এর হনিমুনে আপনারও হোক প্যারিস ভ্রমণ। অকাদেমির নাট্যপ্রেমে চৈতালি সন্ধে জমজমাট হোক। ফেলে আসা কলেজবেলার ‘ভালোলাগা’ সুর খুঁজে সমে ফিরুক খুশির বারান্দায়।
৪. হবি রিটার্নস
ফাইল, প্রোজেক্ট, মিটিং, অ্যাসাইনমেন্ট, ডেডলাইন। আপাত নিরীহ শব্দাবলী দৈনন্দিনে এক একটি কালীপটকা। দম ফেলার ফুরসত মেলে না এদের চাপে। তানপুরাটা কান ভেঙে আলনার পাশে দাঁড়িয়েই কাটিয়ে দিল একযুগ। টেনিস র্যাকেট চিলেকোঠায় মুখ লুকিয়েছে। রঙ, তুলিও বাক্সবন্দি হয়ে ধুলোর চাদরে ঢাকা। ফের শুরু করে দিন আপনার পছন্দের কাজ। যার ভালো নাম ‘হবি’। ছুটির দুপুরে ধুলো ঝেড়ে নিন তানপুরার। একলা বিকেলে ক্যানভাসে ছড়িয়ে দিন মনের রং। চিলতে ফ্ল্যাটের বারান্দায় টবেই সেজে উঠুক আপনার শখের বাগান। বহুদিন আগে শেখা তেল কই রান্না করে সারপ্রাইজ দিন প্রিয়জনদের। এবার আপনার থেকেই খুশি থাকার টিপস নেবেন সকলে!
৫. ঘর বা কাজের জায়গার ভোল বদল
বদলে ফেলতে পারেন আপনার বাড়ির অন্দরসাজ। পর্দার রং বদলে দিন ভরা চৈত্রের কথা ভেবে। বুক শেলফ, সোফার জায়গা বদল হোক। বক্স জানলায় সাজিয়ে দিন মানিপ্ল্যান্টের বাহার। কুশনে ছড়িয়ে থাকুক কালবৈশাখীর আগমনী। বদলাতে পারেন কাজের জায়গায় নিজের ডেস্কও। নিজের চারপাশের সামান্য পরিবর্তনই রিফ্রেশিং হতে পারে।
৬. একা থাকা
সকলের ইচ্ছেপূরণের ভিড়ে হারিয়ে যায় আমার আমিটা। বৃষ্টির পর মাটির সোঁদা গন্ধে, কাঠফাটা রোদে একঝাঁক ঘুড়ির মিছিলে, রাতের নিঃঝুমে শহুরে জ্যোৎস্নায় কদম ফুলের মাতাল গন্ধে মনে পরে যায় ভুলে যাওয়া কবিতার মতো হারিয়ে যাচ্ছে নিজের সঙ্গে থাকা। নাগরিক ভিড়ে একা থাকাও হতে পারে খুশি থাকার চাবিকাঠি।
৭. উইকএন্ড ট্যুর
লম্বা ছুটি নেই, ইয়ার এন্ডিংয়ে বড় ট্যুরের খরচও দেবে না ওয়ালেট। কিন্তু উইকএন্ডের মস্তির পাঠশালায় জয়েন করতে তো ক্ষতি নেই। পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন দু’দিনের জন্য। সমুদ্রের নোনা বালি, অরণ্যের বন্যতা আদর দেবে। ফ্রেশ অক্সিজেন নিয়ে ব্যাক টু ওয়ার্ক।
৮. আড্ডা
খুশি থাকার এই অপশনটাই বোধহয় আগাম নির্বাচনী সমীক্ষায় এগিয়ে। ভোটের বাজারে নির্দল প্রার্থীর টিকিটে লড়লেও গদির দৌড়ে ‘আড্ডা’ পিছনে ফেলবে সকলকে। চায়ের ঠেক থেকে কলেজ ক্যান্টিন, বিয়েবাড়ি থেকে মজলিসি জলসা, খেলার মাঠ থেকে হেঁসেলের অন্দর- আড্ডার এন্ট্রি আটকায় কে? রাজনীতির তর্কে তুফান তুলে গিয়ার স্টার্ট। টি-টোয়েন্টির লেন বাইলেন ঘুরে, চৈত্র সেলের ওয়ার্ডোবে হল্ট। মালয়েশিয়ার বিমানের রহস্য ভেদে সকলেই শার্লক হোমস। লাস্ট বেল পরার আগে পিএনপিসি মাস্ট। আড্ডার চেনা ছকে খুঁজে নিন খুশির ম্যাজিক।– ওয়েবসাইট
Posted ১১:১৫ | শুক্রবার, ০৪ এপ্রিল ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin