নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দীর্ঘ ১১ মাস ধরে চলছে যুদ্ধ। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ নামে রাশিয়া আগ্রাসন শুরু করলে এই যুদ্ধ শুরু হয়।
ইতোমধ্যে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি অঞ্চল দখলে নিয়েছে রুশ সেনারা। এর মধ্যে ডোনবাস (লুহানস্ক ও ডোনেটস্ক), জাপোরিঝঝিয়া ও খেরসন গণভোটের মাধ্যমে নিজেদের ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করে নিয়েছে রাশিয়া।
তবে ইউক্রেন এখনও এসব অঞ্চল পুনরুদ্ধারে জোর তৎপরতা চালিয়েছে। খেরসনে অনেকটা অগ্রগতিও হয়েছে ইউক্রেনীয় সেনাদের।
যুদ্ধে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে আরও শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই মুহূর্তে পশ্চিমা মিত্রদের কাছে ট্যাংক চাইছে ইউক্রেন। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচনায় উঠে এসেছে জার্মানির অত্যাধুনিক ট্যাংক লিওপার্ড ২।
লিওপার্ড ২ ট্যাংক কী?
লিওপার্ড ২ ট্যাংক হল বিশ্বের অন্যতম প্রথম সারির যুদ্ধট্যাংক। জার্মানির সেনাবাহিনী এবং অনেক ইউরোপীয় দেশের সামরিক বাহিনী এ ট্যাংক ব্যবহার করে থাকে। ইউরোপীয় নয়— এমন দেশগুলোর মধ্য কানাডা ও ইন্দোনেশিয়া এই ট্যাংক ব্যবহার করে। আফগানিস্তান, কসোভো ও সিরিয়ার সংঘাতে ডিজেল ইঞ্জিনচালিত এ যুদ্ধট্যাংক ব্যবহার করা হয়েছিল।
লিওপার্ড ২ এর বৈশিষ্ট্য কী?
লিওপার্ড ২ ট্যাংকের নানা বৈশিষ্ট্য আছে। ডিজাইনও বিভিন্ন রকম হয়। এ ট্যাংকে নাইটভিশন ইকুইপমেন্ট এবং একটি লেজার রেঞ্জ ফাইন্ডার আছে, এর সাহায্যে লক্ষ্যবস্তুর দূরত্ব মাপা যায়। লেজার রেঞ্জ ফাইন্ডার রুক্ষ ভূখণ্ড বা রুক্ষ ভূমির ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় চলমান লক্ষ্যের ওপর ভালোভাবে নজরদারি করতে সাহায্য করে।
অন্যান্য ট্যাংকের তুলনায় লিওপার্ড ২- এর সুবিধা কী?
ব্রিটেন চ্যালেঞ্জার–২ সিরিজে ১৪টি ট্যাংক ইউক্রেনকে সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। দুই মার্কিন কর্মকর্তা গত বৃহস্পতিবার বলেছেন, ওয়াশিংটন প্রায় ১০০ স্ট্রেকার সাঁজোয়া যুদ্ধযান সরবরাহ করার পরিকল্পনা করেছে; যদিও যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের তৈরি এম ওয়ান আব্রামস ট্যাংক ইউক্রেনে পাঠাতে চায় না।
কারণ, এ ট্যাংক ক্রমাগত রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন এবং চালাতে সাধারণত বিশেষ জ্বালানি দরকার হয়। সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লিওপার্ড ২–এর মেরামত ও সরবরাহ তুলনামূলক সহজ।
ফিনিশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের রিচার্স ফেলো মিন্না অ্যালান্ডার বলেন, “লিওপার্ড ট্যাংকগুলো ইউরোপে রয়েছে। বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ এ ট্যাংক ব্যবহার করে, আর এ ট্যাংকগুলো সরবরাহের জন্য প্রস্তুত আছে। ইউক্রেনে এগুলো পাঠানো সহজ। রক্ষণাবেক্ষণও সহজ হবে। এগুলোর খুচরা যন্ত্রাংশও ইউরোপে আছে, তাই ইউক্রেনীয়দের প্রশিক্ষণ সহজ হবে।
লিওপার্ড ২ পেলে কী লাভ হবে ইউক্রেনের?
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমাদের কাছে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রুখে দেওয়ার ব্যবস্থা চাইছেন। সেই সঙ্গে দূরপাল্লার কামান থেকে রক্ষা করার মতো যুদ্ধবিমানও চাইছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে লিওপার্ড ২ পেলে রাশিয়ার হামলা প্রতিরোধে ইউক্রেনের জন্য সহজ হবে। সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস, বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান
Posted ০৬:৪৫ | রবিবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain