ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস সহ অন্যান্য দূতাবাসকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিশেষ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনার বাসার চারদিকে নেয়া হয়েছে স্মরণকালের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি পুরো কূটনৈতিকপাড়াকে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। মার্কিন দূতাবাসকে কেন্দ্র করে বিশেষ সতর্কতা থাকলেও ঢাকায় নিযুক্ত সব দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত এবং উচ্চপর্যায়ের দূতাবাস কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের উচ্চপর্যায় থেকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কোনোভাবেই যাতে রাজধানীর গুলশান এবং বারিধারায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে না পারে সে জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদানসহ পুলিশকে চৌকস ভূমিকা পালনের নির্দেশও দেয়া হয়েছে। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত মার্কিন নাগরিকদের ভ্রমণে সতর্কতা জারি করার প্রেক্ষিতেই এই নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশ প্রসাশনের পক্ষ থেকে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, নতুনবাজার হয়ে আমেরিকান দূতাবাসের পাশ দিয়ে যাওয়া রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সন্দেহভাজন যানগুলো তল্লাশি করা হচ্ছে। অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা দূতাবাসের আশপাশে অবস্থান নিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজ করছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সতর্কতার পর থেকে ম
ার্কিন দূতাবাস ও মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবন এবং তার চলাফেরার সব পথ নির্বিঘœ করেছে পুলিশ। ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদের নির্দেশে রোববার জয়েন্ট কমিশনার (ক্রাইম) শাহাবুদ্দিন খান কূটনৈতিক এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপ–কমিশনার (মিডিয়া) মোঃ মাসুদুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, মার্কিন দূতাবাসসহ পুরো কূটনৈতিক পাড়ায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বৈশ্বিক পরিস্থিতিসহ দেশীয় পরিবর্তিত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফরের মুখপাত্র ম্যারি হার্ফের ঘোষণা অনুযায়ী, রোববার বাংলাদেশসহ বিশ্বের কয়েকটি মুসলিম দেশের দূতাবাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।
এ ঘোষণার পরপরই ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস ও মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনের আশপাশে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। এর আগে গত বছর মধ্য সেপ্টেম্বরে লিবিয়ার বেনগাজীতে মার্কিন উপ–দূতাবাসে রকেট হামলা ও ইয়েমেনের রাজধানী সানায় মার্কিন দূতাবাসে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মাঝেও হামলা হয়েছিল। ওই ঘটনার পর ঢাকায় মার্কির দূতাবাসসহ সব দূতাবাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দফায় দূতাবাস এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধির পাশাপাশি রাষ্ট্রদূতদের বাসভবনে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এসব নিরাপত্তা পুলিশের ২৫ জন কর্মকর্তা ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করছেন। এছাড়া প্রতি ২৪ ঘণ্টায় প্রায় এক হাজার পুলিশ
span>সদস্য দূতাবাস, রাষ্ট্রদূতের বাসভবন, কর্মকর্তাদের বাসভবনে নিরাপত্তা প্রদান করছে। দূতাবাস কর্মকর্তারা বাইরে ব্যায়াম করতে বাইরে বের হলেও তাকে নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে।
এছাড়াও চেকপোস্টে আর্মড পুলিশের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্যদের নিয়োজিত করা হয়েছে। র্যাবের টহল টিম ছাড়াও সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা বিভিন্ন বেশে সক্রিয় রয়েছে বিভিন্ন সড়কে সড়কে। বিশেষ করে মার্কিন দূতাবাস, কানাডিয়ান দূতাবাসসহ সব দূতাবাস এলাকার সড়কে সড়কে টহল পুলিশ ও ডগ স্কোয়াড দিয়ে তল্লাশি চলছে।
For News : news@shadindesh.com
Like this:
Like Loading...
Related