| বুধবার, ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট
শামসুল খান, কুষ্টিয়া : একজন সফল সংগঠক হিসেবে নিজেকে তুলে ধরে সব শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে প্রানের নেতা হওয়া যায় সেটি দেখিয়ে তরুণ প্রজন্মের কাছে কিভাবে জনপ্রিয় হওয়া যায় সেটিও দেখিয়ে প্রমান করেছেন কুষ্টিয়া শহর আওয়ামীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তাই আলা খান। কুষ্টিয়া শহর আওয়ামীগের ২১টি ওয়ার্ডকে করেছেন চরম শক্তিশালী বঙ্গবন্ধুর এই সৈনিক।
সদ্য হয়ে যাওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শহর জুড়েই ছিল তাঁর অন্যতম ভূমিকা। তার রাজনৈতিক কর্মকান্ড এবং দলের জন্য তার ত্যাগের কারণে তৃনমূলের নেতাকর্মীরা ব্যাপকভাবে দাবি তুলেছেন তরুণ প্রজন্মের আস্থাভাজন তাইজাল আলী খান কে এ উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান হিসেবে পেতে চায়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশ স্বাধীনে অংশ নেন এই বীরমুক্তিযোদ্ধা।
ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামীলীগের সাথে সম্পৃক্ততার কারনে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে একসময় কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন। কুষ্টিয়া পৌরসভার কমিশনার নির্বাচিত হয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসাবে দীর্ঘ দিন ধরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। কাউন্সিলের মাধ্যমে শহর আওয়ামীগের সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি। নব উদ্দমে শুরু করেন শহর আওয়ামীগ গঠনের কাজ। প্রতিটি ওয়ার্ডে করেন নিয়োমিত সভা। যার ফলে শহর আওয়ামীগকে শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলেন। কোন ধরনের লবিং গ্রুপিং রাখেন নি তাঁর গড়া শহর আওয়ামীগের ভিতরে, কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সফল সভাপতি হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এব্যাপারে তাইজাল আলী খানের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি জানান সবার একটা স্বপ্ন থাকে উপরে উঠার। আমি মনোনায়ন চাইব দল যদি আমাকে দেন তাহলে উপজেলাটি সাংসদকে উপহার দিব ইনশায়াল্লাহ। দল যদি মনোনায়ন না দেয় সে ক্ষেত্রে কি করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন এখন পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে যায়নি এবং যত দিন বেচে থাকব দলের বাহিরে যাবনা। মনোনায়ন না পেলে যাকে দেয়া হবে তাঁর হয়েই বিজয় নিয়ে আসা হবে। তবে আমার বিশ্বাস বিগত দিনে দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে কোন দিন গিয়ে বিদ্রোহ করিনি এজন্য আমি মনোনায়নের ব্যাপারে আশাবাদি এবং পেলে বিজয়ের ব্যাপারেও আমি শতভাগ আশাবাদি ।
আ”লীগ বৃহত্তর সংগঠন অনেক যোগ্য সম্পন্ন নেতা আছেন অনেকেই মনোনায়ন চাইতেই পারেন। কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের নেতা আজিজুল ইসলাম বলেন, দুর্দিনে দলের পাশে থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করেছে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বচ্ছাধারার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততার জন্য তার উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া উচিৎ। ২১ নং ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা সুরুজ শেখ বলেন, তিনি সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকেন। বিশেষ করে তরুণরা তাকে খুব ভালবাসে, একজন সৎ মানুষ হিসেবে তার কাছে ছোট বড় কোনো ভেদাভেদ নেই। আর এ কারণেই বড়, ছোট, ধনী দরিদ্র সবাই তাকে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে পেতে চায়। তার রাজনৈতিক কর্মকান্ড এবং দলের জন্য তার ত্যাগের কারণে এবার এ উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান হিসেবে পেতে চায় ২১ নং ওয়ার্ডের জনগণ।
অপরদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল, শুভাকাঙ্খীরা তাইজাল আলী খানকে নিয়ে নানা রকম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তাকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা জানান, দলের জন্য নিবেদিত কর্মী যারা, দলের দুর্দিনে নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজে অর্থ ও শ্রম ব্যয় করেছে তাদেকে এবার মূল্যায়ন করা হবে। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা কোন কর্মীকে ভুলে যান না। তার সঠিক মূল্যায়ন তিনি করেন।
Posted ১৮:১১ | বুধবার, ১৬ জানুয়ারি ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin