| রবিবার, ২২ এপ্রিল ২০১৮ | প্রিন্ট
মুনশি মুহাম্মদ আরমান: পৃথিবীর কণ্টাকাকীর্ণ জীবনে শান্তির একমাত্র ঠিকানা আল কোরআন। এরশাদ হচ্ছে, জেনে রাখো, আল্লাহর জিকিরের দ্বারাই অন্তরসমূহ প্রশান্ত হয়।’ (সুরা রাদ : ২৮)৷ মুফাসসিরদের মতে আয়াতে ‘জিকির’ দ্বারা আল কোরআনকে বোঝানে হয়েছে। দৈনন্দিন জীবনে আল কোরআনের হিফজ, তিলাওয়াত, অর্থ অনুধাবন, গবেষণা ও এতে বর্ণিত বিধিবিধানের ওপর আমল ও শিক্ষাদান অতিব জরুরি। যদি এগুলো কারোর ঘরের কর্মকা-ের মূল হয়, তাহলে সবচেয়ে সুখী পরিবার তারাই। এরাই হলো আল কোরআনের পরিবার। রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘কিয়ামতের দিন কোরআন ও এর পাঠকারীদের মধ্য থেকে যারা এর ওপর আমল করেছে তাদেরকে আনা হবে। এর অগ্রভাগে থাকবে সুরা বাকারা ও সুরা আলে ইমরান। যেনো তা দুটি কালো সামিয়ানা বা মেঘের খণ্ড। যার মাঝখানে রয়েছে ঔজ্জ্বল্য কিংবা তা যেনো ডানা মেলে উড়ে চলা পাখির দুটি ঝাঁক৷ তারা তাদের পাঠকারীদের পক্ষ নিয়ে তর্ক করবে।’ (মুসলিম : ৮০৫)৷ আল কোরআনের যে সকল পাঠকারী এর শিক্ষা অনুযায়ী আমল করে, তাদেরকে এখানে এমন দুটি শব্দ দ্বারা আখ্যায়িত করা হয়েছে, যা মানুষের সবচেয়ে আপনজনের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয় (১) আহল তথা পরিবার (২) সাহিব তথা সঙ্গী।
আল কোরআনের সান্নিধ্যে জীবন কতোই না সুখের! তাদের আনন্দ অবর্ণনীয়, যারা আল কোরআনের পরিবারের সদস্য, আল কোরআনের সঙ্গী। যাদের জিহ্বা কোরআন পাঠে সিক্ত, কণ্ঠ কোরআনের সুললিত সুরে অনুরণিত, অন্তর কোরআনের প্রেমে উদ্বেলিত, কান কোরআন শ্রবণে আলোড়িত, দৃষ্টি কোরআন পাঠে নিষ্পলক, তাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দুনিয়াতে যেনো জান্নাত পেয়েছে! তাদের ওপর অবতীর্ণ হয় প্রশান্তি, রহমত ও প্রশান্তির ফেরেশতা। আর উর্ধজগতে চলে তাদের স্তুতি৷ স্বয়ং আল্লাহ তাদেরকে স্মরণ করেন। যখনই একদল লোক আল্লাহর ঘরসমূহের কোনো একটি ঘরে মিলিত হয়ে কোরআন পাঠ করে এবং পরম্পর তা অধ্যয়ন করে, তখনই তাদের ওপর রহমতের ফেরেশতা রহমত কামনা করে।
Posted ১৪:৩০ | রবিবার, ২২ এপ্রিল ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain