ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার(১৪ নভেম্বর) ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তিনি রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রকে স্বাস্থ্য ও মানবসেবা মন্ত্রণালয়ের (এইচএইচএস) প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেবেন।
তিনি বলেছেন, সাবেক এই ডেমোক্র্যাট নেতা (কেনেডি জুনিয়র) এই পদে থেকে ‘ক্ষতিকর রাসায়নিক ও দূষণ থেকে সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করবেন।
কেনেডি শিশুদের টিকা দেওয়ার বিরোধী। কেনেডি জুনিয়রের দাবি, টিকার কারণে শিশুরা প্রতিবন্ধী হয়ে থাকে। তবে এর সপক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি তিনি। এ ছাড়া কোভিড–১৯ টিকাকে প্রাণঘাতী বলেছিলেন কেনেডি।
গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক ঘোষণায় ট্রাম্প বলেন, তিনি কেনেডির নাম ঘোষণা করতে পেরে ‘পুলকিত’ বোধ করছেন।
রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন। আগামী জানুয়ারি মাসে তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। তার আগে নিজ প্রশাসনে কাকে কাকে নিয়োগ দেবেন, তা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। ইতিমধ্যে ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনের জন্য কয়েকজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়ায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য রবার্ট কেনেডি জুনিয়র আর এফ কে জুনিয়র নামে পরিচিত। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশের সুরক্ষায় সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন। এবারের নির্বাচনে তিনিও রিপাবলিকান দলের প্রার্থিতা প্রত্যাশী ছিলেন। পরে তিনি ট্রাম্পকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান।
ট্রাম্প বলেছেন, তিনি চান, স্বাস্থ্য সুরক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে কেনেডি যারপরনাই চেষ্টা করবেন।
৭০ বছর বয়সী কেনেডি বলেছেন, মার্কিন নাগরিকেরা যেভাবে খাওয়াদাওয়া, শরীরচর্চা ও ওষুধ ব্যবহার করে, তাতে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।
কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের অনুমোদন পেলে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানবসেবাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেবেন কেনেডি। বর্তমানে ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির নিয়ন্ত্রণে আছে সিনেট। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানবসেবাবিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি বিশাল প্রতিষ্ঠান। এখানকার বাজেটের পরিমাণ দুই লাখ কোটি ডলার।
ট্রাম্প তার বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কেনেডি যুক্তরাষ্ট্রকে আবারও ক্ষমতাবান ও স্বাস্থ্যকর করে তুলবেন।’